নোবিপ্রবিতে শিক্ষকদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২০, ০৩:০৮ এএম
ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
অস্থায়ী শিক্ষকদের চাকরিতে স্থায়ী করার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি শুরু করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষকরা।
নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর ও সাধারণ সম্পাদক মজনুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে গত বৃহস্পতিবার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের কথা জানানো হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বদ্যিালয়ের সহকারী পরিচালক (তথ্য ও জনসংযোগ) ইফতেখার হোসাইন।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি নেয়াজ মো. বাহাদুর জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০ শিক্ষক অস্থায়ী পদে নিয়োগ পেয়েছেন। ইতিমধ্যে অনেক শিক্ষকের পরবর্তী পদে পদোন্নতির সময়ও প্রায় এক বছর শেষ হয়েছে।
তাদের পরে স্থায়ী পদে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকরাও পদোন্নতি পেয়ে যাওয়ায় শিক্ষকদের মধ্যে এক ধরনের বৈষম্য দেখা যাচ্ছে।
এছাড়া অনেকগুলো বিভাগে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই, মাত্র দুজন শিক্ষক দিয়ে দুটি শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চলছে। ফলে মানসম্মত শিক্ষা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না এবং শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
নতুন নিয়োগ বন্ধ থাকায় বিভাগ পরিচালনায় পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই বলে অনেক শিক্ষক উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষাছুটিতেও যেতে পারছেন না। এতে করে শিক্ষকদের মধ্যে উচ্চশিক্ষার অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, শিক্ষক সমিতি সর্বশেষ গত ২০ সেপ্টেম্বর মানববন্ধন করে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সময়সীমা বেধে দিয়েছিল।
সে সময় উপাচার্য শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা সচিবের সঙ্গে আলোচনা করে একটা ব্যবস্থা নেবেন বলে বারবার আশ্বাস দিলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো ব্যাবস্থা নেয়া হয়নি।
ফলে শিক্ষক সমিতি অস্থায়ী শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শিক্ষক সমিতি আশা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় দ্রুত এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে শিক্ষা কার্যক্রম পুনরায় চালু করার বিষয়ে সহায়তা করবে।
উল্লেখ্য, সাবেক উপাচার্যের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সব পর্যায়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সেই স্থগিত আদেশের দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও সে আদেশ তুলে নেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক ও কর্মকর্তা সংকট চললেও নতুন করে নিয়োগ দিতে পারছে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
