ইবি ছাত্রের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি, বিভাগীয় সভাপতির পদত্যাগ
ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২০, ০৩:৪২ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী সাইফুল্লাহ আল হাদীর বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ ওঠে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ পেলে ওই শিক্ষার্থীর শাস্তি দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনার সত্যতা পেয়ে বিভাগীয় একাডেমিক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ওই শিক্ষার্থীকে ছাত্রত্ব বাতিল ও স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করে প্রশাসন বরাবর পাঠানো হয়। এ ঘটনার চার দিন পর প্রশাসন থেকে মঙ্গলবার তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে একই দিনে বিভাগীয় সভাপতি প্রফেসর ড. মোস্তাক এমএএম মনোয়ার আলী পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এসএম আবদুল লতিফ তদন্ত কমিটি গঠন ও পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটিতে কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সরওয়ার মুর্শেদ রতনকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর ড. সাইদুর রহমান এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের সভাপতি। কমিটির সদস্যদের আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, অভিযুক্ত হাদী ফ্রান্স পণ্য বর্জনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে পবিত্র মক্কা এবং জমজম কূপকে তাচ্ছিল্য করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়। বিষয়টি আপত্তিকর হওয়ায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন সময় ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগ রয়েছে।
এর আগেও সে আলিম ছাত্র থাকা অবস্থায় ইসলাম ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার হয়। ওই সময় তুমুল ছাত্র আন্দোলনের মুখে তাকে পুলিশ প্রহরায় পরীক্ষায় অংশ নিতে হয় বলে জানা গেছে। এছাড়া ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে নারীদের নিয়ে আপত্তিকর লেখা ও হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে ওই বিভাগের সভাপতি ড. মোস্তাক এমএএম মনোয়ার আলী ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক কারণ দেখিয়ে একটি পদত্যাগপত্র রেজিস্ট্রার বরাবর জমা দিয়েছেন। দৃশ্যমান কোনো কারণ ছাড়াই তার এ পদত্যাগ করার সিদ্ধান্তে বিভাগীয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে নানা প্রশ্নে জন্ম দিয়েছে।
এ বিষয়ে ড. মোস্তাক এমএএম মনোয়ার আলী বলেন, আশাকরি প্রশাসন আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করবে। বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সদস্য হিসেবে আমার যে চিন্তা-চেতনা আছে তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।
