দিনদুপুরে হলের গেটে ছিনতাইকারীর কবলে ইবি ছাত্রী
ইবি প্রতিনিধি
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২০:০৪:২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দিনদুপুরে হলের গেটে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রী। মাদক সরবরাহের অভিযোগ এনে ছিনতাইকারী তার ব্যবহৃত একটি স্মার্টফোন নিয়ে চলে যায়। এ সময় আটকানোর চেষ্টা করলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর নাম ইমন আরা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। রোববার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পকেট গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রী প্রক্টরের মাধ্যমে শৈলকুপা থানার ওসি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে ওই অভিযোগপত্রটি এখনো শৈলকুপা থানায় জমা দেননি বলে নিশ্চিত করেছে থানা সূত্র।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। পরীক্ষার কারণে হল বন্ধ থাকায় ওই শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী একটি মেসে থাকছেন। হল থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে ওই ছাত্রী মেসে যাচ্ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু হল পকেট গেট এলাকায় পৌঁছলে মোটরসাইকেল আরোহী ছিনতাইকারী ওই ছাত্রীর পথ রোধ করে। এ সময় ওই ছাত্রীকে প্রশাসনের লোক পরিচয় দেয় ছিনতাইকারী। শুরুতেই ওই ছাত্রীর নামে ব্যাগে করে মাদক সরবরাহের অভিযোগ তোলে। একপর্যায়ে তার কাঁধে থাকা ব্যাগ চেক করে ছিনতাইকারী।
এরপর ওই ছাত্রীর পরিচয় নিয়ে তার ব্যবহৃত (অপো সিএইচপি ১৯০১) স্মার্টফোন চেক করার কথা বলে নিয়ে নেয়। ওই ছাত্রীকে প্রধান ফটকে আসতে বলে মোটরসাইকেলযোগে সটকে পড়ে ছিনতাইকারী। এ সময় ভুক্তভোগী ছাত্রী প্রতিবাদ করলে ছিনতাইকারী অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে দ্রুত চলে যায়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, আমি পাশের দোকানের লোকদের কাছে ছিনতাইকারী সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে পার্শ্ববর্তী ত্রিবেণী রোডের দিকে চলে গেছেন। এ ঘটনার পর থেকে আমি মানসিকভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। মোবাইল ফোনটি আমার খুবই প্রয়োজন। এতে আমার অ্যাকাডেমিক অনেক তথ্যাদি রয়েছে।
এ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ছাত্রীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। শৈলকুপা উপজেলা নির্বাচন হওয়ায় আজ অভিযোগ জমা দিতে পারিনি। সোমবার অভিযোগপত্র জমা দিয়ে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৪০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
দিনদুপুরে হলের গেটে ছিনতাইকারীর কবলে ইবি ছাত্রী
দিনদুপুরে হলের গেটে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রী। মাদক সরবরাহের অভিযোগ এনে ছিনতাইকারী তার ব্যবহৃত একটি স্মার্টফোন নিয়ে চলে যায়। এ সময় আটকানোর চেষ্টা করলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর নাম ইমন আরা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। রোববার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পকেট গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রী প্রক্টরের মাধ্যমে শৈলকুপা থানার ওসি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে ওই অভিযোগপত্রটি এখনো শৈলকুপা থানায় জমা দেননি বলে নিশ্চিত করেছে থানা সূত্র।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। পরীক্ষার কারণে হল বন্ধ থাকায় ওই শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী একটি মেসে থাকছেন। হল থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে ওই ছাত্রী মেসে যাচ্ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু হল পকেট গেট এলাকায় পৌঁছলে মোটরসাইকেল আরোহী ছিনতাইকারী ওই ছাত্রীর পথ রোধ করে। এ সময় ওই ছাত্রীকে প্রশাসনের লোক পরিচয় দেয় ছিনতাইকারী। শুরুতেই ওই ছাত্রীর নামে ব্যাগে করে মাদক সরবরাহের অভিযোগ তোলে। একপর্যায়ে তার কাঁধে থাকা ব্যাগ চেক করে ছিনতাইকারী।
এরপর ওই ছাত্রীর পরিচয় নিয়ে তার ব্যবহৃত (অপো সিএইচপি ১৯০১) স্মার্টফোন চেক করার কথা বলে নিয়ে নেয়। ওই ছাত্রীকে প্রধান ফটকে আসতে বলে মোটরসাইকেলযোগে সটকে পড়ে ছিনতাইকারী। এ সময় ভুক্তভোগী ছাত্রী প্রতিবাদ করলে ছিনতাইকারী অকথ্য ভাষায় গালি দিয়ে দ্রুত চলে যায়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, আমি পাশের দোকানের লোকদের কাছে ছিনতাইকারী সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে পার্শ্ববর্তী ত্রিবেণী রোডের দিকে চলে গেছেন। এ ঘটনার পর থেকে আমি মানসিকভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। মোবাইল ফোনটি আমার খুবই প্রয়োজন। এতে আমার অ্যাকাডেমিক অনেক তথ্যাদি রয়েছে।
এ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ছাত্রীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। শৈলকুপা উপজেলা নির্বাচন হওয়ায় আজ অভিযোগ জমা দিতে পারিনি। সোমবার অভিযোগপত্র জমা দিয়ে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।