গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি ধরতে সফটওয়্যার কিনছে ইউজিসি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩০ মে ২০২১, ০৮:৩৩ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি ধরতে অ্যান্টি প্ল্যাজিয়ারিজম সফটওয়্যার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি ঠেকাতে এই সফটওয়্যার কেনা হচ্ছে। সফটওয়্যারটির নাম ‘টার্নইটইন’।
রোববার ভাচুর্য়ালি অনুষ্ঠিত প্ল্যাজিয়ারিজম চেকার ওয়েব সার্ভিস ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।এ ছাড়া সভায় বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন, ব্যবহারবিধি এবং ব্যয় নির্ধারণে পৃথক কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় যুক্ত ছিলেন- কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহম্মেদ চৌধুরী ও ড. জাবেদ আহমেদ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. সেকেন্দার আলী, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মশিউল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. সায়েদুর রহমান, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. শামিম আল মামুন, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আক্তার হোসেন, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. খন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুন, ইউজিসির রিসার্চ সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিকেশন বিভাগের পরিচালক মো. কামাল হোসেন ও আইএমসিটি বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাকসুদুর রহমান ভূঁইয়া।
ইউজিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সফটওয়্যারের অথেনটিকেট অংশ গবেষক এবং শিক্ষকদের গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি এবং ফিডব্যাক স্টুডিও দিয়ে শিক্ষার্থীদের থিসিস চৌর্যবৃত্তি বিষয়টি শনাক্ত করা যাবে।
ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, প্রাথমিকভাবে দেশের ৩০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই সফটওয়্যারের সেবা সরবরাহ করা হবে। পর্যায়ক্রমে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সফটওয়্যারের ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।
ইউজিসি সদস্য প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে।নীতিমালা না থাকায় এই চৌর্যবৃত্তি শনাক্ত করা যাচ্ছে না।তিনি বলেন, একটি নীতিমালা থাকা প্রয়োজন।টার্নইটইন সফটওয়্যার ব্যবহারের জন্য দ্রুত একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে।তাহলে গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি শনাক্ত করতে সহজ হবে।
