৪৩ তম বিসিএস পরীক্ষা কি নির্ধারিত সময়েই?
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২১, ০৮:০১ এএম
ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সরকারি চাকরিপ্রার্থীদের সবচেয়ে আকাঙিক্ষত সেক্টর বিসিএস। ৪৩ তম বিসিএসের আবেদন ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। করোনাকালে কয়েক দফায় এই বিসিএসের আবেদনের সময় বাড়ানো হয়। এবার রেকর্ডসংখ্যক চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছেন।
সরকারি কর্ম কমিশন পিএসসির জনসংযোগ দপ্তর থেকে ১ জুন আবেদনের শেষ দিনে জানানো হয়, এই বিসিএসে আবেদন জমা পড়েছে ৪ লাখ ৩৫ হাজার ১৯০ টি।
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছিল ৪১ তম বিসিএসে। ওই বিসিএসে ৪ লাখ ৭৫ হাজারের বেশি প্রার্থী আবেদন করেছিলেন।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় যথাসময়ে ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি নেওয়া নিয়ে দ্বিধায় পড়েছে পিএসসি। করোনার টিকা আরও বেশি দেওয়ার পর অবস্থার উন্নতি হলেই এ পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পিএসসি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি। করোনার কারণে আমাদের হাতে বেশ কিছু বিসিএসের কার্যক্রম জমা পড়েছে। ৪৩তম বিসিএস নিয়ে আমাদের ভাবনা আছে। দিন দিন অনেক মানুষ করোনার টিকার আওতায় আসছে। অবস্থার উন্নতি হলেই আমরা বিলম্ব না করে ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার আয়োজন করতে পারব।’
করোনাভাইরাসের কারণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের চূড়ান্ত (সেমিস্টার) পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরীক্ষা সময়মতো না হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী ৪৩তম বিসিএসে আবেদন করতে পারেননি। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় স্নাতক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সেই সময় ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার আবেদনের সময়সীমা বাড়াতে পিএসসিকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার নির্ধারিত দিন পেছানো হবে বলে জানিয়েছে পিএসসি। এই বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য আগামী ১৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেছিল। পরে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ১৫ অক্টোবরের পরিবর্তে ২৯ অক্টোবর পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
১১ মে পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নুর আহমদের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
পিএসসি সূত্র জানিয়েছে, ১৫ অক্টোবর হিন্দুধর্মাবলম্বীদের বিজয়া দশমী অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সে জন্য ওই তারিখে পরীক্ষা নেওয়া হবে না। পুনর্নির্ধারণ করা দিনেও ৪৩ তম বিসিএস হবে কিনা সেটি নিশ্চিত নয়। কারণ জুলাই মাসেও সংক্রমণের উর্দ্বগতি।
জানতে চাইলে পিএসসির একজন সদস্য গণমাধ্যমকে বলেন, পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণের সময় বিজয়া দশমীর বিষয়টি চোখ এড়িয়ে গেছে। তাই পিএসসি ওই দিনের পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কমিশনের সভা শেষে এই তারিখ পুনর্নির্ধারণ করা হবে।
৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০, পুলিশ ক্যাডারে ১০০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫, শিক্ষা ক্যাডারের জন্য ৮৪৩, অডিটে ৩৫, তথ্যে ২২, ট্যাক্সে ১৯, কাস্টমসে ১৪ ও সমবায়ে ১৯ জন নিয়োগ দেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রার্থীকে ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার সময় ২ ঘণ্টা। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ২০০টি প্রশ্ন থাকবে। প্রার্থী প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাবেন। তবে ভুল উত্তর দিলে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত মোট নম্বর থেকে শূন্য দশমিক ৫০ নম্বর কাটা যাবে। প্রিলিমিনারির বিষয়ভিত্তিক সিলেবাস পিএসসির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য ৩৫, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য ৩৫, বাংলাদেশ বিষয়াবলি ৩০, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ২০, ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ১০, সাধারণ বিজ্ঞান ১৫, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি ১৫, গাণিতিক যুক্তি ১৫, মানসিক দক্ষতা ১৫, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসনের ওপর ১০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।
