শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ
জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:১১ পিএম
ছবি: সংগৃহিত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
রোববার রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
মিছিলে জাবি শিক্ষার্থীরা শাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট বডির সকল সদস্যের পদত্যাগ দাবি করেন। এছাড়া শাবিপ্রবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো অবিলম্বে মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।
সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফন্ট জাবি শাখার আহ্বায়ক শোভন রহমান বলেন, শাবিপ্রবির বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট শিক্ষার্থীদের কথা শোনেন না। তাই হলের প্রভোস্টের পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। তবে এদিকে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়নি উপাচার্য। অন্যদিকে পুলিশ দিয়ে নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, এক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলতেন, ‘শিক্ষার্থীদের গায়ে গুলি করার আগে আমাদের গায়ে করতে হবে।’ অথচ স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী ও পুলিশ ডেকে এনে নিরীহ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করাচ্ছেন। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন, ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের দফতর সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তাপসী দে প্রাপ্তি।
উল্লেখ্য, শাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া আইআইসিটি ভবনের তালা ভেঙে উপাচার্যকে উদ্ধার করে পুলিশ। এতে বাধা দিলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
এর আগে, শাবিপ্রবির বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হল প্রভোস্ট বডির সকল সদস্যের পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য সব বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা। এদিকে শনিবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
