Logo
Logo
×

শিক্ষাঙ্গন

ভিসির পদত্যাগের দাবিতে অটল শাবি শিক্ষার্থীরা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:৩৫ এএম

ভিসির পদত্যাগের দাবিতে অটল শাবি শিক্ষার্থীরা

ছবি: যুগান্তর

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলা, উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আজ মঙ্গলবারও আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের সামনে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে জড়ো হয়ে মিছিল বের করেন তারা।

মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন হল ঘুরে গোলচত্বরে এসে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা জানান, সিলেট-১ আসনের সাংসদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন সোমবার দিবাগত রাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তার পাঠানো প্রতিনিধির মাধ্যমে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। এর পর প্রধান ফটকের সামনে অবস্থানরত পুলিশ, রায়ট কার ও জলকামান প্রত্যাহার করা হয়। প্রধান ফটক থেকে পুলিশ সরে যাওয়ার পর শিক্ষার্থীরাও উপাচার্যের ভবন থেকে সরে যান।

তবে সরে যাওয়ার আগে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় গোলচত্বরে জড়ো হয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে কর্মসূচি শুরুর ঘোষণা দিয়ে যান।

সোমবার সন্ধ্যায় ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনের সড়কে ফরিদ উদ্দিন আহমেদের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা।

কুশপুত্তলিকা দাহ করার আগে বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, নিজের আত্মরক্ষার জন্য যে উপাচার্য সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করতে পারেন, তিনি কোনো গ্রহণযোগ্য শিক্ষক হতে পারেন না। আমরা অবিলম্বে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ দাবি করছি। ন্যূনতম সম্মানবোধ থাকলে তিনি নিজেই পদত্যাগ করবেন বলে আমরা আশা করি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে পদত্যাগ করতে হবে।

ছাত্র অধিকার পরিষদের এ নেতা বলেন, বর্তমান সরকার ছাত্রবান্ধব নয়। পেটোয়া বাহিনী দিয়ে তারা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে। এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ছাত্রসমাজের কাছে দুঃখ প্রকাশের দাবি করেন তিনি।

এ বক্তব্যের পরই অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের কুশপুত্তলিকায় কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা ‘ছাত্র মারা ভিসি, চাই না চাই না’, ‘যে ভিসি গ্রেনেড মারে, সেই ভিসি চাই না’ ইত্যাদি বলে স্লোগান দেন।

রোববার দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে সন্ধ্যায় তাকে উদ্ধার করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্য, ১০ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ১৫ শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ তার বাসভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।

উপাচার্য জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাই শিক্ষার্থীদের কাল সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেন।

শাবি আন্দোলন ভিসি

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম