মেগা প্রকল্পে অনুমোদনহীন রড, সরানোর নির্দেশ ইবি উপাচার্যের
ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ০৩:৫৮ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে ১০ তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন। ভবনটি নির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দেওয়া অনুমোদনের বাইরে গিয়ে রড ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সোমবার রাতের আঁধারে এ রডগুলো নিয়ে এসেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশল অফিস। বিষয়টি নজরে এলে রড ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম।
প্রকৌশল অফিস সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। এর অধীনে ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বিশ্ববিদ্যালয় লেকের পাশেই নির্মিত হচ্ছে ভবনটি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাইশা কনস্ট্রাকশন ও হোসাইন কনস্ট্রাকশন লিমিটেড যৌথভাবে কাজটি করছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রথম দফায় তিনটি বিএসআরএম, আনোয়ার ইস্পাত এবং জিপিএইস ইস্পাত রডের অনুমোদন দেয়।
দ্বিতীয় দফায় গত সোমবার আকিজ গ্রুপের মেঘনা ও এসসিআরএম রডের অনুমোদন দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দুটি প্রশাসনের অনুমোদন দেওয়া ৫টি রডের বাইরে গিয়ে ‘এসএস গ্রুপের টাইগার রড’ নিয়ে আসে।
অনুমোদনের বাইরে গিয়ে রড ব্যবহার নিষেধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকৌশল অফিস। নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে নতুন করে রড নিয়ে আসার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে উপাচার্য রডগুলো সরানোর নির্দেশ দেন। ঘটনাস্থলে তদারকি করতে যায় দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী নাসিমুজ্জামান। এ সময় ঠিকাদারদের সঙ্গে তাদের বাগকিতণ্ডা হয় বলে জানান তারা। তবে এখনো রডগুলো সরানো হয়নি বলে জানা গেছে।
জানা যায়, এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজে বিএসআরএম রডের ব্যবহার করা হলেও মেগা প্রকল্পে দুই দফায় বিএসআরএমসহ মোট ৫টি রড ব্যবহারের অনুমতি দেয় প্রশাসন।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী সহীদ উদ্দিন মো. তারেক যুগান্তরকে বলেন, ভিসি স্যার অনুমোদনহীন রড ফেরত পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছেন। অনুমোদনহীন রড দিয়ে আপাতত কাজ করা হচ্ছে না। তবে ঠিকাদাররা এ রড পরীক্ষা করার আবেদন করেছেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সেটা টেস্ট করানো হবে। টেস্ট রিপোর্ট ওকে হলে অনুমতি দিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, আমাদের অনুমোদিত রডের বাইরে অন্য কোনো রড দিয়ে কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। পরীক্ষা করে কাজের যোগ্য হলেও অনুমোদনহীন এ রড দিয়ে কাজ করা হবে না। রাতের আঁধারে আসা রড দিয়ে কাজ করত দেওয়া হবে না। আমি প্রক্টরকে বলে দিয়েছি, যাতে রাতের আঁধারে নির্মাণ সামগ্রী ক্যাম্পাসে না ঢুকতে পারে।
