আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে সস্ত্রীক শাবিতে যাচ্ছেন জাফর ইকবাল
সিলেট ব্যুরো
প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:২২ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ চার বছরের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে পুলিশি হামলার মধ্যদিয়ে। উপাচার্যের নির্দেশেই পুলিশি হামলা, গুলি ও শব্দ বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।
উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন ভাঙবেন না আমরণ অনশনকারী শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার রাত নয়টায় উপাচার্যের বাসভবনের সামেন প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান ১৫০ ঘন্টা ধরে অনশনকারী তিন শিক্ষার্থী - শাহরিয়ার আবেদীন, জাহেদুল ইসলাম, সাবরিনা মমতা।
এদিকে জানা গেছে, আন্দোলনকারীদের সাথে কথা বলতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) যাচ্ছেন শিক্ষাবিদ ও লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে তিনি শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে পৌঁছাবেন বলে নিশ্চিত করেছেন আন্দোলনের মুখপাত্র মীর রানা।
তিনি বলেন, স্যারের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ আছে। তিনি আমাদের জানিয়েছেন ক্যাম্পাসে আসছেন। তিনি এখন রাস্তায় আছেন। আন্দোলন স্থলে এসে তিনি তার অবস্থান ঘোষণা করবেন। জাফর ইকবালের ব্যক্তিগত সহকারী জয়নালও এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মীর রানা বলেন, ঢাকা থেকে স্যার রওনা দিয়েছেন। তার স্ত্রী ইয়াসমিন হক ম্যাডামও সঙ্গে আছেন। তারা ছাত্রদের অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করবেন। ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং ইয়াসমিন হক দুজনই শাবিপ্রবির সাবেক অধ্যাপক।
এদিকে আন্দোলনে অর্থ জোগানের অভিযোগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে সিলেট মহানগর পুলিশের কাছে হস্তান্তরের পর রাতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
আন্দোলনে অর্থ জোগানের অভিযোগে মামলা দায়েরর পর তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আটককৃতরা হলেন- হাবিবুর রহমান খান (২৬), রেজা নুর মুইন (৩১), এএফএম নাজমুল সাকিব (৩২), একেএম মারুফ হোসেন (২৭), ফয়সাল আহমেদ (২৭)।
আন্দোলন কর্মসূচিতে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার অভিযোগে সাবেক পাঁচ শিক্ষার্থী গ্রেফতারের বিষয়ে অনশনকারী তিন শিক্ষার্থী বলেন, দেশের কোন আইনে অনুজদের কর্র্মসূচিতে ‘ডোনেশন’ দেওয়া অপরাধ কিংবা বেআইনী সেটি আমাদের জানা নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক পাঁচ শিক্ষার্থী গ্রেফতারের ব্যাপারে নিন্দা জানান তারা। এসময় অবিলম্বে নির্শত মুক্তির দাবি জানা। এ ছাড়া ওপরের নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ডাইনিং বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
