Logo
Logo
×

শিক্ষাঙ্গন

সেশনজটে দিশেহারা শেকৃবির শিক্ষার্থীরা

Icon

ইমরান খান, শেকৃবি

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২২, ০৩:৩৩ পিএম

সেশনজটে দিশেহারা শেকৃবির শিক্ষার্থীরা

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) নানা অজুহাতে বারবার বিভিন্ন সেমিস্টারের পরীক্ষা পেছানোর কারণে সেশনজটে আটকে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। নির্ধারিত সময়ে সেমিস্টার শেষ না হওয়ায় হতাশায় ভুগছেন শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, প্রতিটি ব্যাচে কিছু অনিয়মত, রাজনৈতিক ও মাদকাসক্ত ছাত্র মিলে ভিসি, ডিন কিংবা ডিপার্টমেন্টে গিয়ে আকুতি-মিনতি করলেই পিছিয়ে দেওয়া হয় পরীক্ষা। ফলে পুরো সেমিস্টার পিছিয়ে পড়ে তৈরি হয় সেশনজট। এমন অভিযোগ করে সামাজিক মাধ্যমে লেখালিখি করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬তম ও ৭৭তম ব্যাচের বেশ কিছু শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রশাসনের দুর্বল অবস্থানের কারণে প্রতিটি ব্যাচে অনিয়মিত, রাজনৈতিক ও মাদকাসক্ত কয়েকজন সিনিয়রের ভূমিকায় পরীক্ষা পেছানোয় সেশনজটে পড়তে হয়েছে। যার কারণে ৪ বছরের অনার্স শেষ করতে লাগছে ৫ থেকে ৬ বছর। অথচ একই সঙ্গে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা অনার্স শেষ করে চাকরির পরীক্ষা দিচ্ছেন।

সজল নামের এক শিক্ষার্থী জানান, কেউ পরীক্ষা পিছাতে চাইলে কয়েকজন স্যার শিক্ষার্থীদের কাছে ভালো হওয়ার জন্য পরীক্ষা পেছানোর অ্যাপ্লিকেশন দিতে বলেন। এরপর ক্লাস প্রতিনিধিরাও ওদের কারণে সাইন করে পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়। প্রশাসন যেখানে পরীক্ষা না পেছানোর জন্য পদক্ষেপ নেবে, সেখানে তাদের এমন ভূমিকায় আমরা হতাশ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬তম ব্যাচের অনার্স ২ বছর আগেই শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পরীক্ষা বারবার পেছানোর কারণে সেশনজটে পড়েছেন এ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।

কিছুদিন আগে শেকৃবি ছাত্রলীগের হল সম্মেলনের কারণে পিছিয়ে দেওয়া হয় ৭৮তম ব্যাচের পরীক্ষা। এছাড়া ছাত্রনেতার জন্মদিনের কারণেও পরীক্ষা পেছানোর রেকর্ড রয়েছে বলে জানা যায়।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, এখন থেকে আমরা কঠোর অবস্থানে যাচ্ছি। কোনো ব্যাচ পরীক্ষা পেছাতে আসলে তাদের পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত পরীক্ষা না পেছানোর প্রতিশ্রুতি দেবে, ততক্ষণ সেই ব্যাচের পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
 

সেশনজট দিশেহারা শেকৃবি শিক্ষার্থীরা

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম