Logo
Logo
×

শিক্ষাঙ্গন

কুবি ক্যাম্পাস দ্বিখণ্ডনের প্রতিবাদে স্থানীয়দের মানববন্ধন

Icon

কুবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০১:২৮ পিএম

কুবি ক্যাম্পাস দ্বিখণ্ডনের প্রতিবাদে স্থানীয়দের মানববন্ধন

‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন’প্রকল্পের আওতায় সম্প্রসারিত ক্যাম্পাস বর্তমান ক্যাম্পাস থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে স্থাপনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অখণ্ড কুবির দাবিতে পূর্ব ঘোষিত এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য ১ হাজার ৬৫৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার মেগা প্রকল্পের অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা। প্রকল্পের আওতায় ১৯৮ দশমিক ৮৯ একর ভূমি অধিগ্রহণের জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিন কিলোমিটার দূরে বিজয়পুরের রাজারখোলায় স্থান নির্ধারণ করা হয়।

প্রকল্প পাশ হওয়ার পাঁচ দিন পর ২৮ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে অখণ্ড ক্যাম্পাসের দাবিতে বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। একই দাবিতে সে সময় মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরাও।

এরপর রাজারখোলায় ভূমি অধিগ্রহণের জন্য কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের নিকট গেল বছরের ২৪ মে ৪৭১ কোটি ১১ লাখ ২২ হাজার ৫৫ টাকার চেক হস্তান্তর করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সর্বশেষ গত ৭ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে 'পাহাড়ের জমি কিনে উপজেলা চেয়ারম্যান ঘনিষ্ঠদের বাণিজ্য' শিরোনামে প্রধান সংবাদ প্রকাশ করা হয়। সংবাদে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও তার ঘনিষ্ঠজন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ২৭ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তা নামে-বেনামে স্থানীয়দের থেকে নামমাত্র মূল্যে জমি কিনে রেখেছেন বলে উল্লেখ করা হয়।

এ প্রেক্ষিতে আবারও অখণ্ড ক্যাম্পাসের দাবিতে সরব হয় স্থানীয়রা। রোববার পুরো এলাকায় মাইকিং করে স্থানীয়দের মানববন্ধনে উপস্থিত হতে অনুরোধ করা হয়।

মানববন্ধনে ইউসুফ আলী মুখী নামে একজন স্থানীয় বলেন, আমরা অখণ্ড কুবি চাই। বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের আশেপাশে গড়ে উঠা একটি ছাতার মতো। বিশ্ববিদ্যালয়কে দ্বিখণ্ডিত করবেন না। আমরা ন্যায্য দামে আমাদের জায়গা বিক্রি করব। রাজারখোলায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে দাম দিয়ে ভূমি অধিগ্রহণ করবে আমরা একই দামে জায়গা বিক্রি করব। আমাদের একটাই দাবি বিশ্ববিদ্যালয় যেন দ্বিখণ্ডিত না হয়।

মো. রনি নামে আরেকজন স্থানীয় বলেন, ক্যাম্পাসের তিনপাশেই যথেষ্ট সমতল ভূমি আছে অধিগ্রহণের জন্য। কিন্তু প্রশাসন এসব ভূমি বাদ দিয়ে তিন কিলোমিটার দূরে পাহাড়ি এলাকায় ভূমি কিনতে যাচ্ছে। যেখানে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এসেও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

বক্তারা আরও বলেন, রাজারখোলা যে স্থানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভূমি অধিগ্রহণ করেছে সেখানে সমতল জায়গা নেই। বরং ভূমি অধিগ্রহণের নামে একটি কুচক্রী সিন্ডিকেট চড়া দামে জমি বিক্রি করছে। প্রভাবশালী মহলের ব্যক্তিরা আগেই নিজ, ড্রাইভার, সন্তান, আত্মীয়দের নামে ভূমি অধিগ্রহণ করে রেখেছে। যা ইতোমধ্যে সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই। চড়া দামে ভূমি অধিগ্রহণের নামে সরকারের অর্থ অপচয় না করারও অনুরোধ করেন তারা।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম