জাবির ভর্তি ফরমের মূল্য ভাগবাটোয়ারা, তদন্ত করল ইউজিসি
জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৩:৪৯ পিএম
জাবির ভর্তি ফরমের মূল্য ভাগবাটোয়ারার অভিযোগে তদন্ত শুরু করে তদন্ত কমিটি।
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফরম বিক্রি থেকে আয় হয় ২০ কোটি টাকা। তার মধ্যে প্রায় আট কোটি টাকা শিক্ষক-কর্মকর্তারা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন- এমন অভিযোগের তদন্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ইউজিসির গঠিত তদন্ত কমিটির তিন সদস্যের টিম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে নতুন প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল রুমে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে। দীর্ঘ সময় এ কার্যক্রম শেষে বিকাল ৫টার পরে ক্যাম্পাস ত্যাগ করে তদন্ত কমিটি।
ইউজিসির পক্ষে তদন্ত কমিটিতে ছিলেন- ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক আবু তাহের, ইউজিসির অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপ-পরিচালক মো. গোলাম দস্তগীর।
তদন্ত কার্যক্রম শেষে বের হওয়ার সময় অধ্যাপক আবু তাহের সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সুনির্দিষ্ট বিষয়ে তদন্ত করতে যা যা করার দরকার করেছি। আমরা অনেক নথিপত্র চেয়েছি, বিশ্ববিদ্যালয় সেগুলো আমাদের দিয়েছে। দ্রুতই আমরা এসবের ভিত্তিতে প্রতিবেদন জমা দেব।
অপরদিকে ২০১৯ সালে ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত কমিটি দ্রুতই তাদের কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানিছেন কমিটির সদস্য সচিব ও ইউজিসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. গোলাম দস্তগীর।
তিনি বলেন, ভিসির বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য আমরা দ্রুই বসব। যত দ্রুত সম্ভব আমরা তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করব। তবে অবশ্য আমরা বিষয়টি তদন্তের আওতায় নিয়ে আসবো।
তদন্ত চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. নূরুল আলম, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মনজুরুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার, রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
তদন্ত কমিটি চলে যাওয়ার পরে অধ্যাপক রাশেদা আখতার সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত কমিটি আমাদের কাছে যা যা চেয়েছে আমরা সবটাই দিয়েছি। আমরা তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছি।
এদিকে করোনার মধ্যে অফিস না করলেও ইউজিসির তদন্ত কমিটি ক্যাম্পাসে আসায় নিজ অফিসে এসেছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। তবে তিনি তদন্ত কমিটির বৈঠকে উপস্থিত হননি। এমনকি তদন্ত কমিটির দুপুরের খাবারের ফাঁকেই তিনি বাসভবনে ফিরেছিলেন।
জানা যায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ভর্তি ফরম বিক্রি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট আয় হয়েছিল ২০ কোটি টাকা। তার মধ্যে ১০ কোটির বেশি ব্যয় হয়েছিল পরীক্ষা আয়োজন প্রক্রিয়ায়। আর দুই কোটি টাকা ব্যয় হয় অন্যান্য খাতে। বাকি আট কোটি এক লাখ ২২ হাজার টাকা শিক্ষক ও ভর্তি পরীক্ষায় যুক্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ভাগবাটোয়ারা করে নেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ অভিযোগে তদন্তে নেমেছে ইউজিসি ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
