Logo
Logo
×

শিক্ষাঙ্গন

১১ ঘণ্টা পর ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যানচলাচল শুরু

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৪:৫৩ পিএম

১১ ঘণ্টা পর ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যানচলাচল শুরু

ফাইল ছবি

প্রায় ১১ ঘণ্টা পর ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যানচলাচল শুরু হয়েছে।

গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলা, পাল্টা হামলা ও ভাংচুরের পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

এর আগে বুধবার রাতে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এর প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুই কিলোমিটার দূরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ঘোনাপাড়া মোড়ে ধর্ষকদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা বিভ্ন্নি প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে স্লোগান দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. রাজিউর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তারা মহাসড়ক ছেড়ে ক্যাম্পাসে ফিরে যান। এরপর যান চলাচল শুরু হয়।

ধর্ষণের ঘটনায় প্রক্টর রাজিউর রহমান রাতেই সদর থানায় মামলা করেছেন এবং সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

জানা যায়, বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী তার এক বন্ধুর সঙ্গে গোপালগঞ্জ শহরের হেলিপ্যাড থেকে নবীনবাগের মেসে ফিরছিলেন।

এ সময় ৪-৫ জন দুর্বৃত্ত মেয়েটির বন্ধুকে মারপিট করে। এরপর নবনির্মিত জেলা প্রশাসন স্কুল ও কলেজ ভবনের মধ্যে নিয়ে ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে। রাতে ছাত্রী ধর্ষণের খবর ক্যাম্পাসে জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা গোপালগঞ্জ থানা ঘেরাও করেন।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ফয়সাল আহমেদ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের এক সহপাঠী বুধবার রাতে শহরের নবীনবাগ এলাকায় তার বাসায় ফেরার সময় গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষকদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি। আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। ভিডিও ফুটেজ দেখে যতক্ষণ না পর্যন্ত ধর্ষক শনাক্ত হবে, ততক্ষণ আন্দোলন চালিয়ে যাব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান বলেন, বিষয়টি জানার পর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ভিকটিমের সঙ্গে কথা বলে ওই রাতেই দুজনকে আসামি করে আমি বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা করেছি।

গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিহাদ আদনান তাইয়ান বলেন, ইতোমধ্যে আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে থানায় এনেছি। ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

ধর্ষণ ছাত্রী

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম