৭৭ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন সেই ঢাবি শিক্ষার্থী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২২, ০৪:১৭ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
উপাচার্যের আশ্বাসে ৭৭ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি।
ঢাবির শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারের অব্যবস্থাপনার অভিযোগ এনে ছয় দফা দাবিতে অনশনে বসেন তিনি।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে গিয়ে রনিকে ডাবের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়।
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বাম পা এবং কোমরে আঘাত পেয়ে গেল ৫ এপ্রিল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি হন রনি।
এরপর যথাযথ চিকিৎসা ও সুযোগ-সুবিধা না পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে ফেসবুকে একটি ভিডিওবার্তা পোস্ট করেন তিনি।
যেখানে ঢাবির এই মেডিকেল সেন্টারের ভোগান্তি, অনিয়ম এবং অব্যবস্থাপনা নিয়ে ২ মিনিট ৫৪ সেকেন্ড বক্তব্য রাখেন রনি।
ভিডিওতে ছয়টি দাবি তোলেন রনি - ১. মেডিকেল সেন্টারের এন্ট্রি পয়েন্টে ইনফরমেশন ডেস্ক স্থাপন করতে হবে।
২. প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক লিফট, র্যাম্প, হুইল চেয়ার ও অন্যান্য সরঞ্জাম দিতে হবে।
৩. ছাত্রীদের অন্তর্বর্তীকালীন শারীরিক সমস্যার সব চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় টিকা দিতে হবে।
৪. অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় আধুনিক চিকিৎসা সামগ্রী ও ওষুধ প্রদান এবং প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট বা মেশিন স্থাপন করতে হবে।
৫. অতিদ্রুত মেডিকেল সেন্টারে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার প্রদান ও ক্যান্টিন স্থাপন নিশ্চিত করতে হবে।
৬. অতিদ্রুত হাইকমোড, তথা হাইলি ডেকোরেটেড স্যানিটেশন সিস্টেমে টয়লেট, বাথরুম তৈরি করতে হবে।
এসব দাবি না মানা পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানান এ শিক্ষার্থী।
রনি এই ৬ দাবির প্রসঙ্গে সোমবার সন্ধ্যায় উপাচার্য বলেন, ইতোমধ্যেই কিছু দাবির বাস্তবায়ন হয়েছে। বাকি দাবিগুলো খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। আর আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত নতুন একটি ভবন দুই বছরের মধ্যেই নির্মাণ করা হবে।
