ইবির সেই ছাত্রী বললেন- নির্যাতনের প্রতিবাদ চালিয়ে যাব
ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:০৪ পিএম
ইবির ভুক্তভোগী ছাত্রী। ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
‘আমার শারীরিক অবস্থা বেশি ভালো না। তবুও যেহেতু তদন্ত কমিটি ডেকেছে আসতেই হবে। আশা করি ক্যাম্পাসে আর এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটবে না। তবে ভবিষ্যতে এমন কোনো ঘটনা ঘটলে আমার প্রতিবাদ চালিয়ে যাব।’
হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত কমিটির ডাকে সোমবার ক্যাম্পাসে আসেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের ছাত্রলীগ নেত্রী কর্তৃক নির্যাতিত ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী। কমিটির কাছে দীর্ঘ চার ঘণ্টা ধরে ওই রাতের নির্যাতনের বর্ণনা শেষে এসব কথা বলেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী।
তিনি যুগান্তরকে বলেন, ‘আবার বাবা রিকশা চালিয়ে আমাদের মানুষ করছেন। আমরা গরিব হতে পারি তবে অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করব না। সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমার প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে। আমার পাশে আমার পরিবার সবসময় আছে, থাকবে। পরিবার আমাকে পূর্ণ সাপোর্ট দিচ্ছে। আমি ভীত নই। অন্যায় মুখবুজে সহ্য না করে প্রতিবাদ করা উচিত। আশাকরি ন্যায়বিচার পাব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় হাইকোর্টের আদেশে রোববার রাতে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।
কমিটির সদস্যরা হলেন- অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আ ন ম আবুজর গিফারী, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানা ও ইবির হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর শাহাবুব আলম।
কমিটির সদস্যরা সোমবার বেলা ১২টায় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে প্রক্টর অফিসে প্রবেশ করেন। এদিকে দুপুর ৩টার দিকে তদন্ত কমিটির ডাকে বাবা ও বড় ভাইকে সঙ্গে নিয়ে ক্যাম্পাসে আসেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। পুলিশি প্রহরায় তাকে ক্যাম্পাস গেট পর্যন্ত নেওয়া হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি ও ইবি থানা পুলিশের সহযোগিতায় প্রধান ফটক থেকে প্রক্টর অফিসে নেওয়া হয়। এরপর চার ঘণ্টা ঘরে কমিটি প্রক্টর অফিসে ওই রাতে ঘটনার বর্ণনা শুনেন। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে তদন্ত কমিটির সদস্যরা ভুক্তভোগী ছাত্রীকে নিয়ে সরেজমিন পরিদর্শনে ঘটনাস্থল দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে প্রবেশ করেন। হল প্রশাসন তাদের তদন্ত কাজে সহযোগিতা করছেন বলে জানা গেছে। রাত ৯টার ১৫ মিনিটে ভুক্তভোগীসহ তদন্ত কমিটির সদস্যরা হল থেকে বের হন। এ সময় তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আ ন ম আবুজর গিফারী বলেন, ‘আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। তদন্তের স্বার্থে কিছু বলা যাচ্ছে না। শেষ হলে বলব।’
প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘কমিটির দুজন সদস্য ক্যাম্পাসে এসেছেন। ভুক্তভোগী ক্যাম্পাসে এসেছে। আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করছি।’
এ বিষয়ে সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর শাহবুব আলম বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আমরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারব বলে আশা রাখি।’
