|
ফলো করুন |
|
|---|---|
র্যাগিং প্রতিরোধে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট অ্যান্টি র্যাগিং ভিজিলেন্স কমিটি গঠন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিসাদেশে এ তথ্য জানানো হয়।
এ কমিটি হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক আগামী দুই বছর কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
জানা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের নির্যাতন বন্ধ করে ভুক্তভোগীদের দ্রুত প্রতিকার দিতে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি ও স্কোয়াড গঠনের নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। তিন মাসের মধ্যে এ কমিটি গঠনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এ আদেশের তিন বছর পর ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনার প্রেক্ষিতে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি গঠন করেছে ইবি প্রশাসন।
অফিসাদেশে বলা হয়- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ অধিকতর সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদকে আহ্বায়ক করে ও উপ-রেজিস্ট্রার আব্দুল হান্নানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ছাত্র-উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শেলীনা নাসরীন, প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি প্রফেসর ড. দেবাশীষ শর্মা ও আইন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. রেবা মণ্ডল।
গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে দুই দফায় নির্যাতনের শিকার হন ওই ছাত্রী। ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে ফুলপরীকে গণরুমে আটকে ৫ ঘণ্টা নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করেন শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাচ্ছুম ও মোয়াবিয়া, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী।
এ ঘটনায় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ওই ছাত্রী। রিট হয় হাইকোর্টে। পরবর্তীতে হাইকোর্ট, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রশাসন ও ছাত্রলীগের পৃথক চারটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। প্রত্যেক কমিটি ঘটনার সত্যতা পায়। একই সঙ্গে হাইকোর্ট ঘটনার সত্যতা ও সাময়িক বহিষ্কারের নির্দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
