|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটিকে সিসিটিভি ফুটেজ সরবরাহে ব্যর্থ হয়েছিল হল প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি।
এ ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. আহসান-উল-আম্বিয়াকে দায়িত্ব দিয়ে এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অফিস আদেশে বলা হয়, গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে সংঘটিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের রিট পিটিশন নম্বর ২১০৫/২০২৩ নির্দেশনার আলোকে ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম এ কমিটি গঠন করেছেন। হল কর্তৃপক্ষ ভিডিও ফুটেজ সরবরাহ করতে ব্যর্থ হওয়ার বিষয়ে হল প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা এবং কিভাবে ক্যামেরা সিস্টেম আরও কার্যকরভাবে পরিচালনা করা যায় সে বিষয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া পৃথক আরেকটি অফিস আদেশে, আইসিটি সেলের অধীনে পরিচালিত সিসি ক্যামেরা সিস্টেমের পাসওয়ার্ড ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষের চাবি জরুরি ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদের নিকট হস্তান্তর করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে দুই দফায় নির্যাতনের শিকার হন ওই ছাত্রী। ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে ফুলপরীকে গণরুমে আটকে ৫ ঘণ্টা নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করেন শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাচ্ছুম ও মোয়াবিয়া, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী।
এ ঘটনায় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ওই ছাত্রী। রিট হয় হাইকোর্টে। পরবর্তীতে হাইকোর্ট, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রশাসন ও ছাত্রলীগের পৃথক চারটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। প্রত্যেক কমিটি ঘটনার সত্যতা পায়। একই সঙ্গে হাইকোর্ট ঘটনার সত্যতা ও সাময়িক বহিষ্কারের নির্দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
