|
ফলো করুন |
|
|---|---|
স্থানীয়দের হামলার শঙ্কায় রয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশ এলাকার বিভিন্ন মেসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা। মেস থেকে বের হয়ে নিরাপদে ক্যাম্পাসে আসতে প্রচুর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন মেসে থাকা একাধিক শিক্ষার্থী।
সর্বশেষ সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী কাজলার ফুলতলা এলাকায় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম বর্ষের সোহেব আক্তার হৃদয় স্থানীয় যুবকদের আক্রমণের শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সোহেব দৈনিক যুগান্তরকে বলেন, বন্ধুসহ ফুলতলায় ঘুরতে গেলে স্থানীয় কিছু যুবক তাদের পরিচয় জানতে চায়। এ সময় নিজেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দিলে একজন যুবক তাকে চড় মারেন। অভিযুক্ত যুবকের নাম পরিচয় জানতে পারেননি এই শিক্ষার্থী। তবে তিনি বিনোদপুর বাজারের ব্যবসায়ী বলে জানতে পেরেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। চড় মারার বিষয়টি তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবহিত করেছেন এবং এ ঘটনায় তাকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগরীর মতিহার থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল বলে জানান ভুক্তভোগী এই শিক্ষার্থী।
মেসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে রাবি উপাচার্য বলেন, মঙ্গলবার সকালে রাবি প্রশাসন মেস মালিক সমিতি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। এছাড়া আশপাশের এলাকাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাবি ক্যাম্পাসে অকারণে বহিরাগতদের চলাফেরা ও প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গত শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় বগুড়া থেকে বাসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী আলামিন আকাশ রাজশাহী আসার সময় সিটে বসাকে কেন্দ্র করে গাড়ির ড্রাইভার শরিফুল ও সুপারভাইজার রিপনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটে এসে আবারো কন্ডাক্টরের সঙ্গে ঝামেলা বাধে। তখন স্থানীয় এক দোকানদার এসে শিক্ষার্থীদের সাথে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে উভয়র মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হন এবং স্থানীয় দোকানদারের ওপর চড়াও হন। বিষয়টি সমাধানে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ঘটনাস্থলে গেলে তার ও তার সহযোগীদের বাইকে আগুন দেয় স্থানীয়রা। এরপর শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও পুলিশের রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছোড়ার ফলে সাংবাদিকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত তিন শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।
এ ঘটনায় অনিবার্য কারণবশত দুদিন ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ঘটনার পরদিন মহাসড়ক ও রেললাইনে অগ্নিসংযোগসহ শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের আন্দোলন কর্মসূচিতে উত্তাল ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
