জাবির ছাত্রী হলে চুরি, পদত্যাগ করলেন প্রভোস্ট
জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৩, ১০:৩৬ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
গত ১১ জানুয়ারি রাত ৩টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হলে, ৪টার দিকে খালেদা জিয়া হলে এবং ভোর সাড়ে ৫টার দিকে শেখ হাসিনা হলে ঢুকে ছাত্রীদের গালাগালি, হেনস্তা করা ও চুরির ঘটনা ঘটে।
এর প্রেক্ষিতে ১২ জানুয়ারি রাত আটটার দিকে নিরাপদ হলের দাবিতে সুফিয়া কামাল হল থেকে খালেদা জিয়া হল পর্যন্ত ছাত্রীরা বিক্ষোভ মিছিল করে। এ ঘটনায় সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. মোতাহার হোসেন পদত্যাগ করেছেন।
এ বিষয়ে অধ্যাপক মো. মোতাহার হোসেন বলেন, আমি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া চুরির ঘটনায় মর্মাহত হয়ে প্রতিবাদস্বরূপ দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছি। ২০১৯ সালে হলের সীমানা প্রাচীরের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য আবেদন করেছি, ২০২১ সালে হ্যালোজেন লাইট স্থাপনের জন্য আবেদন করছি, কিন্তু প্রশাসন কোনোটাই বাস্তবায়ন করে নাই। ফলশ্রুতিতে চুরিসহ ছাত্রী হেনস্থার ঘটনাগুলো ঘটছে। তবে, তিনটি হলে চুরির ঘটনা ঘটেছে অথচ আন্দোলন হয়েছে শুধু আমার হলে, এর পেছনে নিশ্চয়ই কারো হাত রয়েছে বলে আমি সন্দেহ করছি।
এদিকে সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. মোতাহার হোসেনের পদত্যাগের পর ইন্সটিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির (আইআইটি) অধ্যাপক কে এম আককাছ আলীকে নতুন প্রভোস্টের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেগম সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট ও আইবিএ-জেইউ এর অধ্যাপক ড. মো. মোতাহার হোসেনের প্রভোস্টের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগপত্র গ্রহণপূর্বক ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির অধ্যাপক কে এম আককাছ আলীকে যোগদানের তারিখ হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উক্ত হলের প্রভোস্ট নিয়োগ করা হলো। তিনি প্রচলিত নিয়মে সুবিধাদি ভোগ করবেন।
সুফিয়া কামাল হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক কে এম আককাছ আলী বলেন, কিছুক্ষণ আগে নতুন প্রভোস্ট হওয়ার চিঠি পেয়েছি। বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবো।
সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া চুরির ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সুফিয়া কামাল হলসহ আরও দুটি হলে এই ঘটনা ঘটেছে। দায়িত্ব গ্রহণ করার পর এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
