Logo
Logo
×

শিক্ষাঙ্গন

যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত সেই জাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি

Icon

জাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৩, ১০:৩৯ পিএম

যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত সেই জাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে নিজ বিভাগের একাধিক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন, ভুক্তভোগী ছাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং জোর করে দায়মুক্তিপত্র আদায়ের অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (চুক্তিভিত্তিক) রহিমা কানিজ গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৩১১তম সভায় এ কমিটি গঠন করা হয়। এর আগেও একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটির প্রতিবেদনের পর অধিকতর তদন্তের জন্য নতুন এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটির প্রধান রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক কৌশিক সাহা এবং সদস্য সচিব ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন) শাহনাজ হোসেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শফি মোহাম্মদ তারেক, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ইসমত আরা এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আফসানা হক।

গত ১ মার্চ এক চিঠিতে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দেয় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

কমিশনের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপ-পরিচালক মৌলি আজাদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয়- বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এবং যুগান্তর পত্রিকা থেকে জানা যায় যে, আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ে পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনি নিজ বিভাগের একাধিক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন, ভুক্তভোগী ছাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এবং জোর করে দায়মুক্তিপত্র আদায় করেছেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিয়েছেন তা কমিশনকে পত্র পাওয়ার সাত কার্যদিবসের মধ্যে পত্রযোগে এবং ইমেইলে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

মূলত এই চিঠি প্রাপ্তির ফলশ্রুতিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো।

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি দৈনিক যুগান্তরে ‘জাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ, সিন্ডিকেট সভা ঘেরাও’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে ৯ ফেব্রুয়ারি অভিযোগের ঘটনায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তসাপেক্ষে জড়িত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

গত ২৭ নভেম্বর বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছাত্রীদের সঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষকের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ঘটনায় সংবাদ প্রকাশিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১ ডিসেম্বর ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ’ ব্যানারে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

এরপর ৫ ডিসেম্বর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগের তদন্ত ও শাস্তি দাবি করে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট। ৬ ডিসেম্বর অভিযুক্ত শিক্ষককে ‘চরিত্রহীন’ ও ‘লম্পট’ আখ্যা দিয়ে অব্যাহতি চেয়ে মানববন্ধন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

তদন্ত কমিটি

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম