ছাত্রলীগের হাতে ইবির জিয়া হল প্রভোস্ট লাঞ্ছিত
ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৩, ১০:৫৪ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট আবাসিকতার তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের দ্বারা লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় প্রভোস্টের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও কার্যালয়ের জানালার কাচ ভাংচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ হল প্রশাসনের।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। তবে ছাত্রলীগ কর্মীরা হল প্রশাসনকে লাঞ্ছিত করলেও সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের পাশে রয়েছে বলে জানিয়েছেন হল প্রভোস্ট।
হল প্রভোস্ট আব্দুল জলিল পাঠান বলেন, মঙ্গলবার আবাসিক ও অনাবাসিক ছাত্রদের ডাটাবেজ নিতে গেলে আমাকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আমাকে লাঞ্ছিত করে। পরে তারা অমার সঙ্গে অনৈতিক ও অছাত্র সুলভ আচরণ এবং আমার কার্যালয় ভাঙচুর করে। কয়েকজন খুব বাজে ভাষায় আমাকে গালিগালাজ করেছে। তবে সাধারণ ছাত্রদের সহযোগিতা পেয়েছি।
হল প্রশাসন সূত্র জানায়, সোমবার রাতে হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল জলিল পাঠান হলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। এ সময় হলের বিভিন্ন সংকট, ডাইনিংয়ের উন্নত পরিবেশ নিশ্চিতকরণ ও হলের আবাসিকতার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অলোচনা করেন তিনি। পরদিন মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের তথ্য নিতে হলের কক্ষ পরিদর্শনে যান হলের প্রভোস্ট আব্দুল জলিল পাঠান।
এ সময় সঙ্গে ছিলেন- আবাসিক শিক্ষক প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাস, আবু শিবলী মো. ফতেহ আলী চৌধুরী, হলের উপ-রেজিস্ট্রার তারিক উদ্দীন আহমেদসহ হল প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা। এ সময় তাদেরকে ব্যঙ্গ করে বিভিন্ন কথা বলেন ছাত্রলীগ কর্মীরা।
একপর্যায়ে হলের প্রধান ফটকের সামনে প্রভোস্টের সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মীরা বাগবিতণ্ডায় জড়ান। পরে তারা প্রভোস্ট কার্যালয়ের তিনটা জানালার কাচ ভাঙচুর করেন। এ সময় সেখানে ছাত্রলীগকর্মীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। সরেজমিন প্রভোস্ট কার্যালয়ের জানালার কাচ ভেঙে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এদিকে ভাঙচুরের বিষয়টি অস্বীকার করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। তারা বলেন- পূর্ব নির্দেশনা ছাড়াই হলে রেড দিতে আসে হল প্রশাসন। আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। হঠাৎ রেড দেওয়ায় সাধারণ ছাত্ররা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এজন্য শিক্ষার্থীরা হল থেকে নিচে নেমে ক্ষুব্ধ হয়ে এমনটি করেছেন।
