Logo
Logo
×

শিক্ষাঙ্গন

রাবির হল ছাত্রলীগের সম্পাদককে পেটালেন নিজ দলের নেতাকর্মীরা

Icon

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৩, ১০:৪৭ পিএম

রাবির হল ছাত্রলীগের সম্পাদককে পেটালেন নিজ দলের নেতাকর্মীরা

বাইকের উপর হাত রাখা নিয়ে বাগবিতণ্ডার জের ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মাদার বখশ হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদককে পিটিয়েছে হল শাখা ছাত্রলীগের জুনিয়র নেতাকর্মীরা। বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টায় হল গেটে মারধরের এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে মাদার বখশ হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউর রহমান রাথিকের বাইকে হাত রাখে একই হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইজাজুল ইসলাম মুন্না। এ সময় রাথিক মুন্নার সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে এবং মুন্নাকে বলে ক্যাম্পাসে এত সাইকেল বাইক চুরির ঘটনা ঘটছে, তুই কী আমার বাইক চুরি করার চিন্তা করছিস। তখন বিষয়টা নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

এরপর দুপুর ৩টার দিকে মুন্নার সঙ্গে হল গেটে আবার রাথিকের দেখা হয়। তখন মুন্না রাথিকের কাছে সকালের আচরণের কারণ জানতে চায়। আবার একই বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে রাথিকের বাইক পড়ে যায়। তখন রাথিক মুন্নাকে মারার জন্য তেড়ে আসে। এ সময় মুন্নার সঙ্গে থাকা আরও ৭-৮ জন কর্মী মিলে রাথিককে মারধর করে।

তাৎক্ষণিকভাবে রাথিক বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের তাকে মারধরের বিষয়টি অবহিত করে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুরঞ্জিত প্রসাদ বৃত্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান মিশু ও বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আলফাত সায়েম জেমসসহ ১৫-২০ জন নেতাকর্মী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের রুমের সামনে গিয়ে মুন্নাকে মারধর করে। মুন্না আসাদুল্লা-হিল-গালিবের অনুসারী বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে মাদার বখ্শ হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউর রহমান রাথিক বলেন, সামান্য একটা বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে। মারামারির কোনো ঘটনা সেখানে ঘটেনি।

মুন্নাকে মারধর করতে দেখা গেলেও আলফাত সায়েম জেমস বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, মাদার বখশ হলে একটা ঝামেলা হচ্ছে জানতে পেরে আমরা স্বাভাবিকভাবে সব হলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সেখানে উপস্থিত হই। পরবর্তীতে সেখানে তেমন কোনো বড় বিষয় লক্ষ্য করিনি, কোনো মারামারির ঘটনাও ঘটেনি।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, আমাদেরই কর্মীদের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে একটু মনোমালিন্য কথা কাটাকাটি হয়েছে। আমি পরে দুপক্ষকে ডেকে নিয়ে বিষয়টির মীমাংসা করে দিয়েছি।

এ বিষয়ে মাদার বখ্শ হলের প্রাধ্যক্ষ শামীম হোসেন বলেন, আমি লিখিত কোনো অভিযোগ পায়নি। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে একটা ঝামেলা হয়েছে বলে শুনেছি। বিষয়টি তারাই দেখতে চেয়েছে।

রাজশাহী

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম