|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের কলা, আইন, সামাজিক বিজ্ঞান ও চারুকলা অনুষদ এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটভুক্ত 'এ' ইউনিটের প্রথম শিফটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটক প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব অফিসে নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে। তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় যেকোনো অনিয়ম প্রতিরোধে শক্ত অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। কেন্দ্রগুলোতে সর্বদা শিক্ষকরা তদারকি করছেন। প্রথম শিফটে এসব শিক্ষার্থীর মধ্যে অসঙ্গতি দেখতে পাওয়ায় তাদের আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা প্রক্সির বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এ ঘটনার সার্বিক বিষয় খতিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
জানা গেছে, আজ চার শিফটে 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত প্রথম শিফটে প্রক্সি দিতে এসে স্যার জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনে আটক হন মোহাম্মদ হোসাইন। তিনি আল হাসান সিয়ামের পরিবর্তে প্রক্সি দেন। একই ভবনের ৩৩৭নং কক্ষের মো. আব্দুর রাকিবও (রোল- ৪০৯৪৩) আটক হয়েছেন। তিনি অন্যকে দিয়ে প্রক্সি দেওয়ানোর উদ্দেশ্যে নিজের এডমিট কার্ডের ছবি পরিবর্তন করেছিলেন। এছাড়া কৃষি অনুষদ ভবনে তানভীর আহমেদের (রোল-২৪০৯৬) পরিবর্তে প্রক্সি দিয়ে আটক হন স্বপন হোসাইন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী।
এছাড়া সন্দেহজনক অবস্থায় আরও দুজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তরে নিয়ে আসা হয়েছে। প্রক্টর দপ্তরে তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে জানা গেছে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটনের উপ-পুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক বলেন, গতবারও ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে এমন কয়েকজন আটক হয়েছিল। তাই এবার নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, যদি প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মামলা করবে। এক্ষেত্রে কোনো ছাড় নেই।
