জাবিতে সি ইউনিটের পরীক্ষায় বি ইউনিটের উত্তরপত্র, ফল প্রকাশে বিলম্ব
জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৩, ০৯:১৬ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ছয়জন পরীক্ষার্থী ‘বি’ ইউনিটের উত্তরপত্রে (ওএমআর) পরীক্ষা দিয়েছেন। তার পরিপ্রেক্ষিত ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রোববার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে ‘সি’ ইউনিটের ফলাফল প্রস্তুত করতে গেলে বিষয়টি নজরে আসে সংশ্লিষ্টদের। সোমবার সকালে কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হক এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, ‘সি’ ইউনিটভুক্ত কলা ও মানবিকী অনুষদ এবং বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের ভর্তি পরীক্ষার চতুর্থ শিফটে ‘সি’ ইউনিটের পরিবর্তে ‘বি’ ইউনিটের ছয়টি উত্তরপত্র (ওএমআর) সরবরাহ করা হয়। সমাজবিজ্ঞান অনুষদের গ্যালারি ১৩০ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উজ্জ্বল কুমার মণ্ডল বলেন, ‘সি’ ইউনিটের ওএমআরগুলো স্ক্যান করার সময় ‘বি’ ইউনিটের ছয়টি ওএমআর পাওয়া যায়। পরীক্ষা শেষে ওই কক্ষ থেকে ফেরত পাঠানো বাড়তি প্রশ্নপত্র এবং ওএমআরগুলোর মধ্যে ‘বি’ ইউনিটের আরও ৪৫টি ওএমআর খুঁজে পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, সেখানে বাতিল করা আরও তিনটি ওএমআর পেয়েছি যেগুলো ‘বি’ ইউনিটের হওয়ায় বাতিল করা হয়েছে এবং সেগুলোর পরিবর্তে তাদেরকে ‘সি’ ইউনিটের ওএমআর দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে বুঝা যায়, রুমে দায়িত্বরত শিক্ষক এবং কয়েকজন শিক্ষার্থী সেটা শনাক্ত করতে পেরেছেন। তবে এ বিষয়টি অনুষদের ডিন স্যারকে বলা হয়নি।
কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হক বলেন, এমন ঘটনা কিভাবে ঘটল সেটি জানি না। তবে ডিন অফিস থেকে তো ‘সি’ ইউনিট ছাড়া অন্য কোনো ওএমআর সরবরাহ করা হয়নি। তাই বিষয়টি একটি অস্বাভাবিক ঘটনা। রাত পৌনে ৩টায় এ বিষয়টি আমাদের নজরে আসলে ফলাফল স্থগিত করে দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করা হবে।
এ বিষয়ে সমাজবিজ্ঞন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন, ওএমআর শিট খামে সিলগালা করা থাকে। ভুলক্রমে ‘সি’ ইউনিটের জায়গায় কয়েকটি ‘বি’ ইউনিটের ওএমআর প্রবেশ করে। ওএমআর শিটের ভেতরে কোনো পার্থক্য নেই। শুধু উপরে ইউনিটের নাম উল্লেখ থাকে। এ ঘটনার জন্য ফলাফল তৈরিতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা না।
এদিকে ‘বি’ ইউনিটের ওএমআর হওয়ার পরও কর্তব্যরত শিক্ষকরা বিষয়টি না দেখেই সেখানে স্বাক্ষর করায় পরীক্ষার কক্ষের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের আন্তরিকতা ও দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম বলেন, ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ঘটেছে। ভুলক্রমে ‘বি’ ইউনিটের ওএমআর প্রদান করা হয়। এটি নিয়ে আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।
