রাতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রীদের অবস্থান
জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ জুলাই ২০২৩, ০৮:২৯ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
অবিলম্বে আবাসিক হলে সিটের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রীতিলতা হল, বেগম খালেদা জিয়া হল ও শেখ হাসিনা হলের ছাত্রীরা।
রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অবস্থান নিলে রাত ১০টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক মো. নুরুল আলমসহ অন্য শিক্ষকরা ৩০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে ছাত্রীদের হলে ফেরানোর চেষ্টা করেন।
এ সময় উপাচার্য বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে ইউজিসির সঙ্গে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেছি। কিন্তু ইউজিসি থেকে হলের গার্ড, এটেন্ডেন্ট পদগুলোতে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। এদিকে আবার ডেইলি বেসিসে নিয়োগ দেওয়াও বন্ধ করা হয়েছে। ইউজিসি ছাড়া লোকবল নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই। তাই লোকবলের অভাবে হল প্রস্তুত থাকলেও আমরা সেগুলো চালু করতে পারছি না। আগামী ২৭ জুলাই আমরা আবার ইউজিসিতে যাব। এ বিষয়টি নিয়ে তখন আলোচনা করা হবে। তোমাদের দাবি আর আমাদের দাবিতে কোনো পার্থক্য নেই। আশা করি দ্রুত সমাধান পাব।
পরে উপাচার্য সেখান থেকে ব্যর্থ হয়ে চলে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান শিক্ষার্থীদের পুনরায় বোঝানোর চেষ্টা করেন। এ সময় প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, আমরা তোমাদের সিট সংকট দূর করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। কিন্তু লোকবল সংকটের কারণে চালু করা যাচ্ছে না।
এক পর্যায়ে প্রক্টর আগামী ২৭ জুলাই ইউজিসি বিষয়টির সমাধান না করলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ইউজিসিতে যাবেন বলে আশ্বস্ত করলে ছাত্রীরা অবস্থান কর্মসূচি শেষ করে হলে ফিরে যান।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রীতিলতা, খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা হলের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা ছয় মাসের অধিক সময় এবং দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা প্রায় দুই বছর ধরে গণরুমে অবস্থান করছে। গণরুমের অপরিষ্কার পরিবেশ, ফ্যান ও জানালা সংকটে তীব্র গরমে প্রতিনিয়তই শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এছাড়া পড়াশোনার জন্য চেয়ার-টেবিল ও সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকায় তাতে ব্যাঘাত ঘটছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে হলে নিজেদের সিটের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে বসে শিক্ষার্থীরা।
খালেদা জিয়া হলের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার রুনা বলেন, নতুন হলগুলো প্রস্তুত থাকলেও এখনো চালু করা হচ্ছে না। কবে চালু হবে সেটাও স্পষ্ট করে বলা হয়নি। গণরুমে আমাদের পড়ালেখা ব্যাহত হচ্ছে। তাই আমরা দ্রুত সিট চাই।
শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মারুফা আক্তার মুন বলেন, আমাদের দ্রুত গণরুম থেকে তুলে নিয়ে হলে সিট দিতে হবে। খাট না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে আমরা গণরুমে ফ্লোরিং করে ঘুমাচ্ছি। এছাড়া হলের নোংরা পরিবেশ, পর্যাপ্ত ফ্যান ও জানালা না থাকায় গরমে আমাদের জীবন অতিষ্ঠ। বাধ্য হয়ে এবার আমরা আন্দোলনে নেমেছি।
