ঢাবি হলে রুম দখল নিয়ে ছাত্রলীগের দুগ্রুপে সংঘর্ষ
ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৩, ০৯:২৪ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে তালা ভেঙে রুম দখলের চেষ্টা করে ছাত্রলীগের একপক্ষ। এতে বাধা দিলে লাঠি-স্ট্যাম্প দিয়ে অপরপক্ষের ওপর হামলা করে দখলকারীরা। এ সময় দুইপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত তিনজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মুহসীন হলের ৫৪০ নম্বর রুমকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। মধ্যরাতে এ হামলার ঘটনায় হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
অভিযুক্ত হামলাকারীরা হলেন- হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সাব্বির হোসেন খোকা, উপ-প্রচার সম্পাদক সোহানুর রহমান, আইন সম্পাদক রাকিবুল হাসান শিশির, সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হোসেন ও মো. আব্দুল্লাহ। তারা সবাই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
হামলায় আহতরা হলেন- হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাফিন হাসান, সহ-সম্পাদক তামজিদ আরমিন মোবিন, মাসুদ শিকদার। আহতরা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী। তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হলে ফিরেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ৫৪০ নম্বর রুমে তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারীরা থাকত। রোববার রাত ১২টার দিকে ওই রুমের শিক্ষার্থীরা খাবার খেতে বের হলে সাদ্দাম হোসেনের অনুসারীরা তালা ভেঙে রুম দখল করার চেষ্টা করে। এ সময় সৈকতের অনুসারীরা বাধা দিলে সাদ্দামের অনুসারীরা লাঠি-স্ট্যাম্প দিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। এ নিয়ে পুরো হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তবে হল প্রশাসনের কাউকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি।
অভিযুক্ত সাব্বির হোসেন খোকা বলেন, আমি কোনো হামলায় অংশ নেইনি। বড় ভাইদের সঙ্গে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম কিন্তু আমি পেছনের দিকে ছিলাম। বাকি অভিযুক্তদের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তারা ফোন রিসিভ করেনি।
ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কাজ রুম দখল না। এটি হল প্রশাসনের কাজ। আমাদের নির্দেশনা আছে, তারা যেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থে কাজ করে। যারা এর ব্যত্যয় ঘটাবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান বলেন, হামলার বিষয়ে আমি ওইভাবে জানি না। আমার জানামতে, ছাত্রদের মধ্যে একটু উত্তেজনা হয়েছিল। তারা সেটি সমাধান করে নিয়েছে। তবে আমি খোঁজ নেব। কেউ কোনো অপরাধ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
