জাবিতে ছাত্রী হলে ছাত্রদের প্রবেশ, ছাত্রীদের ক্ষোভ
জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:০৮ পিএম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছাত্রী হলে ছাত্রলীগের কর্মিসভা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিধি লঙ্ঘন করে ছাত্রদের অবাধ প্রবেশের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্রীরা। এতে ছাত্রীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে বলে মন্তব্য করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্রীরা। সোমবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলে শাখা ছাত্রলীগের হল কর্মিসভা চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া ছাত্রী হলে ছাত্রদের অবাধ প্রবেশের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশৃঙ্খলা বিধির ব্যত্যয় ঘটেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশৃঙ্খলা বিধিতে, ‘ছাত্রী হলে কোনো ছাত্র/পুরুষ দর্শনার্থী/পুরুষ অভিভাবক প্রবেশ করতে পারবে না।’ তবে হল প্রশাসন থেকে পাঁচ ছাত্র প্রবেশের অনুমতি দিলেও কর্মিসভায় ত্রিশের অধিক ছাত্র শেখ হাসিনা হলে প্রবেশ করেন।
শাখা ছাত্রলীগের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি হলে কর্মিসভার আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হল ছাত্রলীগের উদ্যোগে হলের ক্যান্টিনে কর্মিসভার আয়োজন করে। কর্মিসভায় ছাত্রীদের পাশাপাশি শাখা ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী অংশ নেন। সভা শুরুর আগে নেতাকর্মীরা নিয়ম মেনে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে হলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলেও সভার মাঝামাঝি সময়ে কিছু নেতাকর্মী হলের অভ্যন্তরে যত্রতত্র ঘোরাফেরা, ভেতরে প্রবেশ ও বাহির হয়েছেন। এ ছাড়া কয়েকজন ছাত্রী হলের মাঠে তাদের ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে ছবি তুলেছেন। এতে ছাত্রীরা তাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
হল প্রাধ্যক্ষ পাঁচজনের অনুমতি দেওয়ার পরেও একাধিক ছাত্র প্রবেশের কারণ জানতে চাইলে হল ছাত্রলীগ নেত্রী সাথী বলেন, সভা শুরুর আগে ঘণ্টা বাজিয়ে অতিথিরা ভেতরে প্রবেশ করে। তবে ছাত্র বেশি হয়ে যাওয়ায় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুনিয়র ব্যাচের ছেলেদের সভার শুরুতেই বাইরে পাঠিয়ে দেন। যে তিনজন মেয়ে হলের মাঠে ছেলেদের সঙ্গে ছবি তুলেছেন তারা ছাত্রলীগের কেউ না। এটি আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার।
হল প্রাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক হোসনে আরা বলেন, কর্মিসভার জন্য ছাত্রীরা আমার কাছে অনুমতি চাইতে আসে। হলে আগেও এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে হল সুপারদের কাছ থেকে এটি নিশ্চিত হই। অন্যান্য হলে ইতোমধ্যে কর্মিসভা হওয়ায় আমি সভার অনুমতি দিয়েছি। এ ছাড়া ছাত্রলীগ নেত্রী সাথী ও সিথীর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রলীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ পাঁচ ছাত্রকে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিলাম। প্রাধ্যক্ষ আরও বলেন, পাঁচজনকে অনুমতি দেওয়ার পরেও কেন একাধিক ছাত্র প্রবেশ করেছে তা জানতে, যারা অনুমতি নিয়েছে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।