Logo
Logo
×

শিক্ষাঙ্গন

রাবি ছাত্রলীগ নেত্রীর বক্তব্য ‘তার অবস্থানের সীমা অতিক্রম করেছে’: উপ-উপাচার্য

Icon

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৫৭ পিএম

রাবি ছাত্রলীগ নেত্রীর বক্তব্য ‘তার অবস্থানের সীমা অতিক্রম করেছে’: উপ-উপাচার্য

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মন্নুজান হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারজানা শশীর ফেসবুক লাইভের বক্তব্য ‘তার অবস্থানের সীমা অতিক্রম করেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম।

তিনি বলেছেন, ‘এটি অপ্রত্যাশিত এবং একটি ইমম্যাচিউর (অপরিপক্ব) বক্তব্য। সে আসলে কিসের প্রেক্ষিতে এটা বলেছে, সেটি বোঝা যাচ্ছে না। এ ধরনের বক্তব্য আমরা প্রত্যাশা করি না। সে তার অবস্থানের সীমা অতিক্রম করে কথা বলেছে। এটি ওর বিষয় না। যে বিষয়ে ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে না কিংবা বলতে পারে না, সে বিষয়ে ওর কথা না বলাই ভালো।’

শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে ফারজানা শশী প্রশাসন ও সাংবাদিকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। একই সঙ্গে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র–উপদেষ্টা, প্রক্টরিয়াল বডি, প্রক্টর, ভিসি-প্রোভিসির নিয়োগ দেওয়াটা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ভুল সিদ্ধান্ত বলে তিনি মন্তব্য করেন। দ্রুত সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে সৃষ্টি হয় আলোচনা-সমালোচনার। পরে তিনি ফেসবুক লাইভ ভিডিওটি সরিয়ে নেন।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, আমি জানতে পেরেছি বক্তব্য দিয়ে সে এখন অনুতপ্তও হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের এ ধরনের বক্তব্য থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা বলছি। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক নিয়োগের বিষয়টা যে, সে বলেছে এটি তার এখতিয়ার বহির্ভূত।

বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এই ছাত্রলীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের প্রসঙ্গে উপ-উপাচার্য বলেন, ব্যবস্থা কিন্তু দুই রকমের। একটি হল এ ধরনের বক্তব্য যাতে ভবিষ্যতে না দেয় তার ব্যবস্থা করা। আরেকটা হলো শাস্তি। শাস্তিটা হলো- সে নিজেই এখন অনুতপ্ত। যে বক্তব্য দেওয়ার তার এখতিয়ার নেই সেটি সে দিয়ে ফেলেছে। আমরা বলব তার মতো এমন ভুল যাতে অন্যরা না করে এবং এখান থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে রহমতুন্নেছা হল ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না আক্তার ওরফে তন্নীর ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার পরও অবৈধভাবে হলে থাকায় তাকে কক্ষ ছাড়ার নির্দেশ দেয় হল প্রশাসন; কিন্তু তিনি হল ছাড়েননি। পরদিন উল্টো হল গেটে তালা দেন তামান্নাসহ হল ছাত্রলীগের নেত্রীরা। পরে মানবিক কারণে ওই নেত্রীকে হলে থাকতে দিয়েছে হল প্রশাসন।

গত কয়েক বছরে রাবি শাখা ছাত্রলীগের রুম দখল, সিট বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ড নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা সংবাদ প্রকাশ করায় লাইভে সাংবাদিক ও প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই নেত্রী।

সাংবাদিকদের বিষয়ে মন্তব্যর পরিপ্রেক্ষিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আসিফ আহমেদ দিগন্ত বলেন, কোনো সংবাদ যখন কারোর পক্ষে যায় তখন সে খুশি হয় আবার কারোর মন মতো না হলে সে অখুশি হয়। কিন্তু কাউকে খুশি করা আমাদের উদ্দেশ্য না। ন্যায়ের পক্ষে যখন সাংবাদিকরা থাকবে তখন বাধা আসবেই। নিজেদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্যই তারা এসব বলছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম