ধর্ষণের অভিযোগে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কেমিকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সুজন চৌধুরীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

২০২৪ সালের ২২ অক্টোবর ওই নারী তার নিজ বাসায় ধর্ষণের শিকার হন বলে দাবি করেছেন। গত ৬ নভেম্বর তিনি চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে ড. সুজন চৌধুরীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব বলেন, আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ আসে। যেহেতু বিষয়টি বিচারাধীন। ভুক্তভোগীর অভিযোগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সুপারিশে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী নারী লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, ২০২৪ সালে ২২ অক্টোবর তার নিজ বাসায় একাধিকবার ধর্ষণ করেন ড. সুজন চৌধুরী। এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ সুজন চৌধুরীর সঙ্গে অর্থের বিনিময় করে মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং আদালতের শরণাপন্ন হতে বলেন। ৬ নভেম্বর তিনি চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন।

মামলার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুজন চৌধুরীকে কয়েক দফায় ডাকা হলেও তিনি বিভিন্ন টালবাহানায় বিষয়টি এড়িয়ে যান। বিভিন্ন সময়, বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দেন এবং মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে ড. সুজন চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেছেন, আমাকে ব্লাকমেইল করে টাকা দাবি করছেন ওই নারী। অভিযোগ মিথ্যা।