Logo
Logo
×

শিক্ষাঙ্গন

জাবিতে বাস আটকের ঘটনায় টাকা লেনদেনের অভিযোগ

Icon

জাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ মে ২০২৫, ০৬:৪১ পিএম

জাবিতে বাস আটকের ঘটনায় টাকা লেনদেনের অভিযোগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) হাফ ভাড়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে নীলাচল পরিবহণের ৯টি বাস আটকে রেখেছিল একদল শিক্ষার্থী। পরে রাতে বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হলেও এ নিয়ে উঠেছে টাকা লেনদেনের অভিযোগ, যা ঘিরে সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুরে শহীদ সালাম-বরকত হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকারী নীলাচল পরিবহণের ৯টি বাস আটকে দেন। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়।

ঘটনার সূত্রপাত হয় নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৫১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান হিরনের সঙ্গে। তিনি মানিকগঞ্জের উথুলী এলাকায় যেতে বাসে ওঠেন এবং হাফ ভাড়ার দাবিতে চালকের সহকারীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়।

অভিযোগ রয়েছে, ওই সহকারী তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। পরে হিরন হলে ফিরে এসে সহপাঠীদের সঙ্গে নিয়ে বাস আটক করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আটককৃত বাসচালকদের সূত্রে জানা যায়, বাস আটকের পর নীলাচল পরিবহণের চেকার মো. ফয়সাল, সাভারের এক বিএনপি নেতার আত্মীয় বেলালসহ কয়েকজন প্রতিনিধি ক্যাম্পাসে আসেন বিষয়টি মীমাংসা করতে।

জানা যায়, বাসচালকদের কাছ থেকে মোট ১৬ হাজার টাকা আদায় করেন চেকার ফয়সাল, যা শিক্ষার্থীদের দিয়ে সমাধানের কথা বলেন। পরবর্তীতে ছাত্রদলের কয়েকজন নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেই বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের সামনে ফয়সাল লেনদেনের বিষয়ে অসামঞ্জস্যপূর্ণ তথ্য দেন। সহকারী প্রক্টররা বিষয়টি পরিষ্কার করতে চাইলে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যান। একপর্যায়ে একটি বাস ক্যাম্পাসে রেখে দেওয়া হয় এবং ঘটনার পূর্ণ তদন্তের দাবি ওঠে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ফয়সাল ও বেলাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার এলাকায় গিয়ে শাখা ছাত্রদলের নেতা নবীনুর রহমানের সঙ্গে কথা বলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নবীনুর রহমান বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আলোচনার পরামর্শ দিয়েছি। টাকা লেনদেন সম্পর্কে কিছু জানি না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম রাশিদুল আলম বলেন, ঘটনার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি ঘিরে বিভিন্ন তথ্য ও ফুটেজ পর্যালোচনা করছি। সোমবার বাস কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম