কুয়েটে প্রশাসনিক কাজ থেকে বিরত থাকার ঘোষণা শিক্ষক সমিতির
খুলনা ব্যুরো
প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৫, ১০:৪৭ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) এবার প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষক সমিতি। একই সঙ্গে আজ দুপুর ১২টার মধ্যে সংঘর্ষ ও শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের বিচারিক কার্যক্রম শেষ না হলে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করারও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা শেষে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এর আগে শিক্ষক লাঞ্ছিত করার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত ছিলেন শিক্ষকরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, রোববার প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় ওই সদ্ধিান্ত নেন শিক্ষকরা। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শিক্ষক সমিতির সভা চলে।
শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের বাইরে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন দোষী ব্যক্তিদের বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করে রেখেছে। যার কারণে কুয়েটের শিক্ষা কার্যক্রম সংকটের মধ্যে পড়েছে। মাত্র কয়েকজন শিক্ষার্থীর স্বার্থ রক্ষায় ও উপরমহল নামক অদৃশ্য শক্তিকে তুষ্ট করছে বর্তমান প্রশাসন। সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে প্রশাসন কোনো সনে্তাষজনক সদ্ধিান্ত না নিলে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় শিক্ষক সমিতি।
পরে
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. ফারুক হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এই সংকট নিরসনে
প্রশাসনের কোনো প্রকার আগ্রহ নেই; সাধারণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ধ্বংসের ষড়যন্ত্র
লিপ্ত। এ অবস্থায় আমরা শনি ও রোববার উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলি। আমরা দেখেছি, অভিযুক্ত
ব্যক্তিদের শোকজ নোটিশ করা এবং এর জবাবদানের সময়সীমা পার হলেও পরে কোনো পদক্ষেপ
গ্রহণ না করে বর্তমান প্রশাসন তার একক সদ্ধিানে্ত বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে রেখেছে।
সব
অপরাধের বিচার দ্রুত শেষ করে একাডেমিক কার্যক্রম চালু করার জন্য লিখিত আবেদন করেছেন
কুয়েট শিক্ষার্থীরা। রোববার দুপুর ১২টার দিকে পাঁচ বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের
কাছে এ দাবি জানান।
লিখিত
আবেদনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্যাম্পাসে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত
ঘটনার প্রতি গভীর উদ্বেগ ও দুঃখ প্রকাশ করছি। একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসাবে আমরা সব
অন্যায়ের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং তদন্তসাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
১৮
ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিকে কেন্দ্র করে কুয়েটে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে ছাত্র-শিক্ষকসহ শতাধিক মানুষ আহত হন। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তত্কালীন
উপাচার্য ও উপউপাচার্যকে সরিয়ে দেয় সরকার। এরপর ১ মে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) অধ্যাপক মো. হযরত আলীকে কুয়েটের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসাবে
নিয়োগ দেওয়া হয়।
