পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকদের মাউশি ঘেরাও
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৫, ১১:০৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ঘেরাও করেছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় মাউশির সামনে এসে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা। দুুপুর পর্যন্ত তারা সেখানে ছিলেন। এদিকে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের করা একটি রিট আবেদন বাতিলের দাবিতে হাইকোর্টের সামনে বিক্ষোভ করেছেন দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
এমপিওভুক্ত
শিক্ষকদের দাবি, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রথমে মাধ্যমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করতে হবে।
সব বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে দ্রুত শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের ঘোষণা দিতে হবে। এছাড়া
আর্থিক প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সব বৈষম্য ঘুচিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করার দাবি তাদের।
এমপিওভুক্ত
একজন শিক্ষক বলেন, সরকারের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী মাসের ১ তারিখে বেতন পেয়ে যান। কিন্তু
শিক্ষকরা বেতন পান মাসের অর্ধেক যাওয়ার পর। বিভিন্ন সময় আরও দেরি হয়। অথচ আমরা সরকারি
প্রতিষ্ঠানের মতো সব ধরনের পরিশ্রম করি। তবে সুযোগ-সুবিধার বেলায় বঞ্চিত হই। তাই
অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সব ধরনের শিক্ষা জাতীয়করণ চাই।
এর
আগে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ, উত্সব ভাতা, চিকিত্সা ভাতা ও বাড়ি ভাড়াসহ বিভিন্ন
দাবিতে টানা ২২ দিন ধরে আন্দোলন করেন শিক্ষকরা। পরে মার্চের শুরুতে তাদের কর্মসূচি
স্থগিত করা হয়।
হাইকোর্টের সামনে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ : দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা রোববার
সকাল সাড়ে ১০টায় হাইকোর্ট প্রাঙ্গণের মাজার গেটের সামনে অবস্থান নেন। তারা ক্রাফট
ইনস্ট্রাক্টরদের করা একটি রিট আবেদন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের
প্রতিনিধি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মো. মাশফিক ইসলাম দেওয়ান বলেন,
ক্রাফট ইনস্ট্রকটরদের পদোন্নতির রায়ের ওপর আপিল শুনানি হচ্ছে। আপিল বিভাগ ইতোমধ্যে
রায়টি স্থগিত করেছেন। সেটি চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য এখন শুনানি হচ্ছে বলে জানতে পেরেছি।
চূড়ান্ত রায় জানতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আমাদের এই অবস্থান। আমরা আশা করি আপিল
বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া রায়টি বাতিল করবেন। আমরা সে অপেক্ষায় আছি।
এর আগে জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে পদোন্নতির জন্য ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের পক্ষে যে রিট আবেদন করা হয়েছে, তাকে ‘কালো রিট’ আখ্যায়িত করেছিলেন মাশফিক ইসলাম দেওয়ান।
