সরকারি ছাড়পত্র না পাওয়ায় চীন সফর অনিশ্চিত শাবি-কুবি উপাচার্যদের

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৫, ০২:১৪ পিএম

শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী ও কুবি উপাচার্য অধ্যাপক হায়দর আলী ( বাঁ থেকে)। ছবি: সংগৃহীত
ফলো করুন |
|
---|---|
সরকারি ছাড়পত্র (জিও) না পাওয়ায় শেষ মূহুর্তে চীনে একটি উচ্চশিক্ষা প্রোগ্রামে
অংশ নেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের
(শাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এম. সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরীর ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের
(কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক হায়দর আলীর।
শনিবার (৫ জুলাই) বেলা ১১টায় শাবিপ্রবির কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক
ড. এস এম এ ফয়েজ চীনের উচ্চশিক্ষা অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধি দলের প্রধান। ২০ সদস্যের
ওই প্রতিনিধি দলে রয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার
ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব প্রমুখ। আগামী ৬ থেকে ১১ জুলাই চীনের কুনমিং, উহান,
গঞ্জু প্রদেশের ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্রমণ ও চুক্তিপত্র সাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে চীন সরকারের শিক্ষা
বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
গত জুনে প্রতিনিধিদলের সদস্যদের পক্ষ থেকে চীনে যাওয়ার জন্য সরকারি ছাত্রপত্রের
জন্য আবেদন করা হয়। গত কয়েকদিনে সবার ছাড়পত্র হলেও ওই দুইজন উপাচার্যের ছাড়পত্র দেওয়া
হয়নি। এতে তাদের চীনের উচ্চশিক্ষা প্রোগ্রামে অংশগ্রহণে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হায়দার আলী জানান,
তিনি গত ২৫ জুন আবেদন করেছিলেন। তবে তিনি এখনও তার ছাড়পত্র অনুমোদন হয়নি।
এ বিষয়ে শাবি উপাচার্য এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘চীনের উচ্চশিক্ষা
এই প্রোগ্রামে যোগ দিতে গত ২৩ জুন আবেদন করেছি। এখনো জিও লেটার পাইনি। আমরা অপেক্ষায়
আছি। সরকারের অনুমোদন পেলে যাবো’।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়)
নুরুন আখতার বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার আমরা সামারি তৈরি করে রেখেছি। চ্যান্সেলরের কাছ
থেকে এখনো অনুমোদন আসেনি। তাই আমরা অনুমোদন দিতে পারছি না’।