পাসের হার ও জিপিএ ৫ কমার কারণ জানালেন শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৪:১৬ পিএম
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির।
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় কাউকে গ্রেস মার্কস বা বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির।
তিনি বলেন, যে ফলাফল আমরা প্রকাশ করলাম, এটি প্রকৃত ফল। এবার কোনো ধরনের বাড়তি নম্বর বা গ্রেস মার্কস কাউকে দেওয়া হয়নি। মেধার প্রকৃত মূল্যায়নের শতভাগ প্রচেষ্টা করা হয়েছে। পরীক্ষকদেরও সেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। ফলে এটিই প্রকৃত ও সত্য ফলাফল। এ নিয়ে সন্দেহ-সংশয় ও ক্ষোভের সুযোগ নেই।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে ঢাকা বোর্ডের সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ফলাফল তুলে ধরে তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, আগে কী হয়েছে সেটি আমরা বলব না। তবে, এখন যে তথ্য দিয়েছি সেটিই প্রকৃত। যা হয়েছে সেটি উপস্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে আমাদের কোনো হাত নেই। আমাদের ওপর মহল থেকে কোনো ধরনের চাপ ছিল না। আমাদের বলা হয়েছে, রেজাল্ট হবে সেটিই দিতে হবে। আমরাও পরীক্ষকদের এ অনুরোধ জানিয়েছি। তাদের যথার্থভাবে খাতা মূল্যায়ন করার জন্য বলা হয়েছে।
বিশেষ কোনো নির্দেশনা ছিল না জানিয়ে খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, শিক্ষার্থীরা খাতায় যা লিখেছে, সে অনুসারে নম্বর পেয়েছে। শিক্ষার্থীদের খাতার প্রাপ্ত নম্বরই যথাযথভাবে আমরা কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রকাশ করেছি। কোনো নির্দিষ্ট নম্বর পাওয়ার পর বিশেষ নম্বর দিয়ে ভালো গ্রেড করে দেওয়া হয়নি। ফলাফল তৈরিতে কোনো উদারনীতিও অবলম্বন করা হয়নি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবার জিপিএ ৫ ও পাশের হার দুটোই কমেছে।
ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এবারে এবার পাশের হার ৬৮ দশমিক ৪৫। গত বছর পাশের হার ছিল ৮৩ দশমিক শূন্য চার।
এবার জিপিএ ৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৩২ শিক্ষার্থী। গত বছর জিপিএ ৫ পেয়েছিল এক লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন। তথা গতবারের চেয়ে এবার জিপিএ ৫ কমেছে ৪৩০৯৭। আর পাশ কমেছে ১৫ শতাংশ।
এবার ফল প্রকাশ উপলক্ষে আনুষ্ঠানিকতা রাখা হয়নি। শিক্ষা বোর্ড গুলো আলাদা আলাদা ভাবে ফল প্রকাশ করছে।
উল্লেখ, এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে বসেছিলেন ১৯ লাখ ৪ হাজার ৮৬জন শিক্ষার্থী। তিন হাজার ৭১৪ কেন্দ্রে ১০ এপ্রিল থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয় ১৩ মে।
এসব পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী ছিলেন ৯ লাখ ৫২ হাজার ৩৮৯ জন, ছাত্র নয় লাখ ৫১ হাজার ৬৯৭ জন। তাদের মধ্যে ছয় লাখ ৭৬ হাজার ৪৪৫ জন ছাত্রী ও ছয় লাখ ২৬ হাজার ৯৮১ জন ছাত্র পাস করেছে।
