ব্যবসায়ীকে পাথর মেরে হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ
রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৬ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) সামনে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। সেই সঙ্গে দেশব্যাপী অব্যাহত চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
এর আগে রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুজ্জোহা চত্বরে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
বিক্ষোভকারীরা মিছিলে ‘চাঁদাবাজের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’ ‘রক্তে ভেজা আমার ভাই, খুনি তোমার রেহাই নাই’, ‘লীগ গেছে যেই পথে, দল যাবে সেই পথে’, ‘এক-দুই-তিন-চার, চাঁদাবাজ দেশছাড়’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক মেহেদী সজীব বলেন, ব্যবসায়ী হত্যাকারীর খুনি ছিল যুবদল। বাংলাদেশে স্পষ্টভাবে দলের নাম ধরে সমালোচনা করা শিখতে হবে। যদি তা না পারেন তাহলে সকলে আবার হাসিনা হয়ে উঠতে চাইবে। প্রত্যেকে আওয়ামী লীগ হয়ে উঠতে চাইবে। নতুন বাংলাদেশে জুলাই যতদিন বেঁচে থাকবে, আমরা কোনোভাবে কাউকে আওয়ামী লীগ হয়ে উঠতে দিব না। সেটা বিএনপি, জামায়াত কিংবা অন্য রাজনৈতিক দল হোক। কোনোভাবে বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদ কায়েম হতে দিব না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাবির সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বিচার চাইতে চাইতে আমাদের নাজেহাল অবস্থা হয়ে গেছে। তারপরও আমরা বলতে চাই, অনতিবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে।
সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন রাবির বৈষম্যবিরোধীর সাবেক সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম শহীদ। এ সময় বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের বিক্ষোভ
এদিকে ঢাকায় নৃশংস কায়দায় যুবককে হত্যা ও খুলনায় সাবেক যুবদল নেতাকে গুলি করে ও রগ কেটে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রগতিশীল বাম সংগঠনগুলোর মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহণ মার্কেট চত্বর থেকে মিছিলটি বের করেন তারা। ক্যাম্পাসের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক চত্বরে এসে মিছিলটি শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্যে দিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়।
