Logo
Logo
×

শিক্ষাঙ্গন

আইইউবিতে ফার্মেসি বিষয়ে লেখাপড়া

Icon

প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০১৮, ০১:২২ পিএম

আইইউবিতে ফার্মেসি বিষয়ে লেখাপড়া

শিক্ষা ও পেশা হিসেবে ফার্মেসি বর্তমান সময়ে বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ তাদের ব্যথা নিরাময় থেকে শুরু করে তাদের জীবন বাঁচিয়ে রাখতে ওষুধের ওপর নির্ভর করে থাকেন।

ওষুধ উদ্ভাবন, উৎপাদন থেকে শুরু করে সঠিক ওষুধ নির্বাচন, ওষুধের ক্রিয়া, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং ওষুধের সঠিক ব্যবহারের ওপর রোগীদের পরামর্শ দিয়ে একজন ফার্মাসিস্ট অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। সুদূর অতীত এমনকি প্রাচীনকাল থেকেই ফার্মেসি, স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পেশা হিসেবে স্বীকৃত।

যারা চিকিৎসাক্ষেত্র বা জনস্বাস্থ্য অথবা সেবাধর্মী পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে চান, ফার্মেসি তাদের জন্য একটি অন্যতম সেরা বিষয়বস্তু হিসেবে বিবেচিত হয়। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে ফার্মেসি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে অন্যতম পছন্দের বিষয়। ফার্মাসিস্ট হতে হলে প্রাথমিকভাবে জীববিজ্ঞানসহ এসএসসি ও এইচএসসি কিংবা ও লেভেল এবং এ লেভেল পাস করার পর ফার্মেসি বিষয়ে স্নাতক কোর্স সম্পন্ন করতে হয়। 

রাজধানী ঢাকায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেশকিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। ফার্মেসি বিষয়ে স্নাতক কোর্সে অধ্যয়নের জন্য ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি) শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষস্থানীয়।

রাজধানীর কোলাহলমুক্ত বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত নিজস্ব ক্যাম্পাসে আইইউবির শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আমেরিকা ও বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সিলেবাসের সমন্বয় সাধন করে আইইউবির ফার্মেসি স্নাতক কোর্সের পাঠ্যক্রম তৈরি করা হয়েছে। উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপ থেকে ডিগ্রিপ্রাপ্ত এবং শিক্ষকতা ও গবেষণায় অভিজ্ঞ শিক্ষকমণ্ডলী এখানকার পাঠ্যক্রম পরিচালনা করে থাকেন। 

রিসার্চ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আইইউবির ফার্মেসি বিভাগে মোট ১২টি বিশ্বমানের ল্যাবরেটরি রয়েছে। ওষুধের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য এখানে রয়েছে- বিশ্বমানের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি। এছাড়াও আইইউবির ফার্মেসি বিভাগের সঙ্গে বিভিন্ন বিদেশি গবেষণা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গবেষণা সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে।

শিক্ষার্থীরা যাতে ফার্মেসি ইন্ডাস্ট্রির বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে সম্যক ধারণা পেতে পারে, সে লক্ষ্যে আইইউবিতে দেশ-বিদেশের ফার্মেসি ইন্ডাস্ট্রিতে উচ্চপদে কাজ করার অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সেমিনার ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়ে থাকে।

এছাড়া পঠিত বিষয়ে শিক্ষার্থীরা যাতে ব্যবহারিক জ্ঞান লাভ করতে পারে সে জন্য তারা কোর্স শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে ফার্মেসি ইন্ডাস্ট্রি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সরেজমিনে পরিদর্শন করে থাকে।

শিক্ষার্থীরা যাতে করে হাসপাতাল, কমিউনিটি ও ক্লিনিক্যাল ফার্মেসিসহ গবেষণা ও শিক্ষাসংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানে দক্ষ ও যোগ্য কর্মী হিসেবে নিয়োগ পেতে পারে অথবা বিশ্বের নামকরা প্রতিষ্ঠানে উচ্চতর পড়াশোনা ও গবেষণার জন্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারে, সে লক্ষ্যে আইইউবির ব্যাচেলর অব ফার্মেসি (বি ফার্ম) প্রোগ্রাম ডিজাইন করা হয়েছে। পড়াশোনার পাশাপাশি আইইউবির শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্বাস্থ্যসচেতনতা এবং জনসেবামূলক কাজের সঙ্গেও সম্পৃক্ত হয়ে থাকে। 

আইইউবিতে ২৮ ফাউন্ডেশন কোর্সসহ মোট ১৩০ কোর কোর্স ক্রেডিটে ব্যাচেলর অব ফার্মেসি কোর্স সম্পন্ন করা যায়। সামার, স্প্রিং ও অটাম- এই তিন সেশনে আইইউবিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ ৫ প্রাপ্ত এবং  ও লেভেলে ৭টিতে এ এবং এ লেভেলে তিনটিতে এ পাওয়া শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ বিনা টিউশন ফিতে পড়তে পারেন।

এছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়াদের মধ্য থেকে ৫% শিক্ষার্থীরাও একই সুবিধা পেয়ে থাকেন। শহীদ খালেক ও মেজর সালেক বীরউত্তম ট্রাস্টের আওতায় আইইউবিতে ঢাকার বাইরের দরিদ্র ও মেধাবী নারী শিক্ষার্থীদের ১০০% বৃত্তিতে পড়াশোনার সুযোগ ও হোস্টেল সুবিধা প্রদান করা হয়। এছাড়া আইইউবিতে সব নারী শিক্ষার্থীকে ১০% টিউশন ফি ছাড় দেয়া হয়।

শিক্ষার্থী ফার্মেসি ব্যাচেলর অব ফার্মেসি

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম