আলোচনার আশ্বাসে অবরোধ তুলে নিল বাকৃবি শিক্ষার্থীরা
বাকৃবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৫১ পিএম
ব্যাংক কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের কথা চলছে। ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) চলমান আন্দোলনের দ্বিতীয় দিনে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করে, পূবালী ব্যাংক ও কোষাধ্যক্ষ ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। আলোচনার আশ্বাসে ৬ ঘণ্টা পর রেল অবরোধ তুলে নেন তারা। ভোগান্তির কথা চিন্তা করে ব্যাংকের তালাও খুলে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে পৃথক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি জানান প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো আব্দুল আলীম ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এহসানুল হক হিমেল। শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন ও সৃষ্ট পরিস্থিতিতে আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, দ্বিতীয় দিনের মতো আন্দোলনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ছয় দফা দাবিতে বিভিন্ন হল থেকে আব্দুল জব্বারের মোড়ে সমবেত হন শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর ১২টার দিকে ক্যাম্পাসে থাকা ঢাকা-ময়মনসিংহ রেললাইন অবরোধ করেন তারা। এরপর দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ভবন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন পূবালী ব্যাংক শাখায় তালা ঝুলিয়ে দেন তারা। বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আলোচনায় বসার শর্তে পূবালী ব্যাংক সচল ও রেল অবরোধ তুলে দেন শিক্ষার্থীরা।
আলোচনার বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম বলেন, শিক্ষার্থীরা আজকে রেল অবরোধ করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী প্রক্টর ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এরপর ব্যাংকে তালা দেওয়ার পর আমি নিজে কথা বলেছি। আজকে তারা আমাদের সঙ্গে বসতে পারবে যেখানে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি থাকবে। শিক্ষার্থীরা তাদের মতামত দিলে উপাচার্যকে অবহিত করা হবে এবং আশা করছি আজকের মধ্যেই ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনায় বসা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে কোনো শর্ত দেওয়া যাবে না। ছাত্ররা আমাদের সঙ্গে বসতে চেয়েছে, আমরাও খোলা মন নিয়ে বসতে চাই। দিন শেষে শ্রদ্ধা, স্নেহ মিলে ছাত্র-শিক্ষকের সুসম্পর্ক বজায় রেখেই এগিয়ে যেতে হবে। আশা করি, আলোচনার মাধ্যমে বাকৃবির এ অচলাবস্থা কেটে যাবে।
আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী এহসানুল হক হিমেল জানান, কম্বাইন্ড ডিগ্রি নিয়ে চলমান আন্দোলন সমাধানের জন্য আমরা নিঃশর্তভাবে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসতে রাজি হয়েছি। ঠিক ওই সময় পর্যন্ত অবরোধ প্রত্যাহার করেছি। আমরা চাই না ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক খারাপ হোক। সেদিক থেকে চিন্তা করলে গত এক মাস ধরে আমরা যে যৌক্তিক দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি, সেটির ফলপ্রসূ সমাধান হোক।
রেলপথ অবরোধের বিষয়ে তিনি জানান, জনগণের দুর্ভোগ যাতে না হয় সেভাবে আমরা যৌক্তিক আন্দোলন করে যাচ্ছি। আমরাও চাই এ আন্দোলন আর দীর্ঘ না হোক। তাই আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছি। তবে আলোচনা যদি ফলপ্রসূ না হয় তাহলে আবারও অনর্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ চলমান থাকবে।
