ডাকসু নির্বাচন
‘আপনারা ভোট দিতে আসুন, তাহলেই সমীকরণ বদলে যাবে’ — কাদেরকে বললেন মেঘমল্লার?
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৭ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ডাকসু নির্বাচনে আর বাকি ১ দিন। আগামী মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর এক দিন আগে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের কাছে বিশেষ আরজি পেশ করেছেন বাম জোট সমর্থিত প্রতিরোধ পর্ষদের জিএস পদপ্রার্থী মেঘমল্লার বসু। তিনি বলেছেন, ‘আপনারা ভোট দিতে আসুন, তাহলেই সমীকরণ বদলে যাবে।’
তিনি আজ সংবাদ সম্মেলনে জগন্নাথ হল ও নারীদের ৫টি হলের শিক্ষার্থীদেরকে বলেন, ‘আমি আমার জগন্নাথ হলের ভাইদের, পাঁচটা হলের বোনদের মনে করিয়ে দিতে চাই, আপনারাও মনে রাখুন যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে শিক্ষার্থী সংসদ আছে, সেখানে বসে কারা নারীদের মোরাল পুলিসিং করত। আমি মনে করিয়ে দিতে চাই যে কারা অ্যাডভোকেট আলিফের মৃত্যুর পর জগন্নাথ হলের পাশ দিয়ে মিছিল দিয়ে গেছে ‘দিল্লি যাদের মামা বাড়ি, বাংলা ছাড়ো তাড়াতাড়ি’, আপনারা আপনাদের দুঃখ, গ্লানিগুলো মনে রাখুন।’
তবে তিনি বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন হলে না থাকা অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের প্রতি। তার বিশ্বাস তারা ভোট দিতে এলেই সব ধরণের সমীকরণ বদলে যাবে। মেঘমল্লার বলেন, ‘আমরা অনাবাসিক ভাই ও বোনদের আহ্বান জানাতে চাই, আপনারা যাকে খুশি তাকে ভোট দিন, কিন্তু প্লিজ প্লিজ প্লিজ ৯ তারিখ ভোট দিতে আসুন। আপনারা ভোট দিতে এলেই সমীকরণ বদলে যাবে। যত সমীকরণ হচ্ছে, কোনো সমীকরণ দাঁড়াবে না। স্বাধীনতা বিরোধীরা একটা পোস্টেও জিতে আসতে পারবে না। আপনারা শুধু আপনাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করুন, আপনাদের শেষ ভোটটা দিয়ে যান।’
শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি সব শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছুতে পারেননি। সেজন্যে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি। তবে মেঘমল্লার বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন, তার এ অক্ষমতা যেন তার ভোট পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্তরায় না হয়ে দাঁড়ায়।
তিনি বলেন, ‘আর যারা আমাকে ভোট দিবেন না, তারা তো দিবেনই না, কিন্তু অনেক মানুষ আছে যারা আমাদেরকে পছন্দ করেন, ব্যক্তিগতভাবে আমাকে পছন্দ করেন, কিন্তু এই চিন্তা করছেন যে যে ব্যক্তি আমার কাছে এখন পর্যন্ত আসেনি, সে নির্বাচনে জয়ী হলে কীভাবে আমার কাছে আসবে। তাদেরকে বলতে চাই, আমি শেষ পাঁচ দিনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলামই যেন শেষ মানুষটা পর্যন্ত পৌঁছাতে পারি। কিন্তু শারীরিক অক্ষমতার কারণে আমি সেটা পারিনি, আমি সেটা মাথাপেতে নিচ্ছি। কিন্তু একই সঙ্গে যে অনুরোধটা করছি, যদি মনে করেন, সামনের দিনের যে পরিস্থিতি, তাতে শিক্ষার্থীদের লড়াইয়ের যোগ্য জিএস ক্যান্ডিডেট আমি, উপযুক্ত প্রার্থী আমাদের প্রার্থীরা, তাহলে প্লিজ আমি আপনার কাছে শারীরিকভাবে পৌঁছাতে পারিনি, শুধু এই কারণে আমাকে আপনার ভোটটা থেকে বঞ্চিত করবেন না। যদি মনে করেন আমি যোগ্য প্রার্থী, তাহলে আমাকে এই গ্রেইসটুকু দিন, সামনের দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর জনে জনে পৌঁছানোর যে দায় সেটা আমি পূরণ করব, এই ওয়াদা আমি এখানে বসে করলাম।’
