জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে জালিয়াতির (প্রক্সির) মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে সুযোগ পাওয়া দুই শিক্ষার্থী ভর্তি হতে এসে গ্রেফতার হয়েছেন। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং আইন ও বিচার বিভাগে দুই শিক্ষার্থী ভর্তি হতে আসেন।  পরীক্ষার খাতার লেখার সঙ্গে তাদের হাতের লেখার মিল না পাওয়ায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ কর্তৃপক্ষ। এরপর তাদের আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহীন বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন।

সোমবার দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক নূর আলম। তিনি বলেন, সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহীন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। সকাল ১০টার পর আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়। গ্রেফতার শিক্ষার্থীরা হলেন বগুড়ার আহনাফ শাহরিয়ার ও ময়মনসিংহের ফয়সাল আহমেদ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোমবার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ভর্তি হতে আসেন আহনাফ শাহরিয়ার। তিনি ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার্থী ছিলেন। ভর্তি পরীক্ষায় তার মেধাক্রম ছিল ২৪৯তম। ভর্তি পরীক্ষার খাতার সঙ্গে হাতের লেখার মিল না পাওয়ায় সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করেন। আহনাফ লিখিত স্বীকারোক্তিতে উল্লেখ করেন, তার এক স্বজনের সঙ্গে দুই লাখ টাকার চুক্তি হয়। ভর্তি পরীক্ষায় আহনাফের হয়ে ওই স্বজন অংশগ্রহণ করেন।

আরেক শিক্ষার্থী ফয়সাল হোসেন সোমবার আইন ও বিচার বিভাগে ভর্তি হতে আসেন। তিনি ‘বি’ ইউনিটে পরীক্ষা দেন। ভর্তি পরীক্ষায় তার মেধাক্রম ছিল ৪৮তম। পরীক্ষার খাতার সঙ্গে তার হাতের লেখার মিল না পাওয়ায় তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর তিনি প্রক্সির বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে তার হয়ে কে পরীক্ষা দিয়েছিলেন, কত টাকার বিনিময়ে পরীক্ষা দিয়েছেন, সেসব প্রকাশ করেননি তিনি।

সুদীপ্ত শাহীন বলেন, ওই দুই শিক্ষার্থী তাদের জালিয়াতির বিষয়ে লিখিত স্বীকারোক্তি দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী আশুলিয়া থানায় মামলা করা হয়। এরপর তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।