ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন: প্রাপ্ত তথ্যের পর্যালোচনা শুরু তদন্ত কমিটির
ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৪৭ পিএম
ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি প্রাপ্ত তথ্যের ওপর পর্যালোচনা শুরু করেছে। প্রথম দফায় মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনে কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. রেবা মণ্ডলের কক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় এ পর্যালোচনা শুরু হয়।
এ সময় কমিটির তিন সদস্য প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি প্রফেসর ড. দেবাশীষ শর্মা, সহকারী প্রক্টর প্রফেসর ড. মুর্শিদ আলম ও সদস্য সচিব একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার আলীবদ্দী খান উপস্থিত ছিলেন।
অধিকতর তদন্তের জন্য তারা ফের অভিযুক্ত, ভুক্তভোগী ও ঘটনা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেবেন বলে জানিয়েছেন। একই সঙ্গে যথাযথ সময়ের মধ্যে তারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা তিন দিন ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন, বিভিন্ন পর্যায়ে ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত ছাত্রীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে কমিটি। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, ঘটনার রাতে হলে অবস্থানরত প্রত্যক্ষদর্শী, হলের আয়া ও ঘটনার সংশ্লিষ্ট সন্দেহভাজন সবার সঙ্গে কথা বলেন বলে জানা গেছে।
পর্যালোচনার দুই ঘণ্টা পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দেবাশীষ শর্মা বলেন, ‘আমাদের তদন্তের কাজ চলছে। আমরা ভুক্তভোগী, অভিযুক্ত ও ঘটনা সংশ্লিষ্ট হলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট দেওয়ার জন্য আমরা পর্যালোচনায় বসেছি। অধিকতর তদন্তের জন্য প্রয়োজনে আবার ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের ডাকা হতে পারে।’ এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পর্যালোচনার কাজ চলমান রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
কী কী বিষয়ে তদন্ত হয়েছে? তিনি এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘তদন্ত কার্যক্রম চলছে। কখন কী নিয়ে বসছি এটাতো বলা আসলে ঠিক হবে না।
প্রসঙ্গত, ইবির দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এক নবীন ছাত্রীকে গণরুমে সাড়ে ৪ ঘণ্টা নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে।
ইবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার অনুসারীরা এ নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী ছাত্রীর।
এ ঘটনায় ১৪ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হল প্রভোস্ট ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
