নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েসনের প্রথম পুনর্মিলনী উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টায় বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার। 

অ্যানথ্রোপলজি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাহমীনা নাজনীনের সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার।

পরে বিভাগের সামনে থেকে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যাপলি বের হয়। র্যাুলিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বর, রবীন্দ্র ভবন, প্যারিস রোড, প্রশাসন ভবনসহ প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিভাগের সামনেই মিলিত হন তারা। এরপর শুরু হয় আলোচনা সভা।

এদিকে দুই দিনব্যাপী আয়োজিত এই পুনর্মিলনীতে অংশ নিয়েছে বিভাগের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, পুনর্মিলনীকে কেন্দ্র করে সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের ভেতর ও বাইরে ব্যানার ফেস্টুন এবং বর্ণিল আলোকসজ্জ্বায় সজ্জিত করা হয়েছে।

অনুষ্ঠান অংশ নিয়ে উচ্ছ্বসিত বিভাগের ১০ম ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী আজিবুল হক পার্থ। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর আমাদের নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনীতে এসে খুবই ভালো লাগছে।

বিভাগের সিনিয়র ভাই ও আপুদেরকে পেয়ে এবং জুনিয়রদের সঙ্গে মিলিত হতে পেরে যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন তৈরি হচ্ছে এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক। 

ভালোবাসার এ বন্ধন এভাবেই আমাদেরকে আজীবন কাছে রাখবে। দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে সম্পন্ন হোক সেই প্রত্যাশা এই সাবেক রাবিয়ানের।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাঈদ মাসুম। তিনি বলেন, নৃবিজ্ঞান বিজ্ঞান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জীবনভর এক উদ্দীপ্ত অনুভূতির নাম। 

প্রকৃতির নিয়মে এক রৌদ্রজ্জল স্বপ্নীল যাত্রার যে ইতি স্মৃতির পাতাকে খানিক স্তিমিত করেছিল, প্রথম রিইউনিয়নে উপস্থিত থাকতে পেরে সেটা কাটিয়ে নতুন উদ্যম সঞ্চারিত হল। চিরযৌবনা নৃবিজ্ঞান করিডোরের ছোঁয়া পেতে বারবার অপেক্ষায় থাকব। 

১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী স্বর্ণালী আক্তার বলেন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন সময় হতে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত মিলে, এই প্রথম ঘটা করে বিভাগের পুনর্মিলন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পাঠ চুকিয়ে ফেলার শেষ মুহূর্তে এসে আমরা এটি পেলাম। এটি আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া এবং আনন্দের বিষয়।

আয়োজন নিয়ে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আহবায়ক মশিউর রহমান সজল বলেন, আমরা অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যেই আয়োজনটি সম্পন্ন করেছি। চেষ্টা করেছি, সবার চাওয়া পাওয়াগুলো পূরণ করার। অনুষ্ঠানটি সফল করতে যারা সময় শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
 
অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক তাহমীনা নাজনীন বলেন, পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের প্রাণ হলের প্রাক্তন ছাত্রীরা। যারা দূরদূরান্ত থেকে এসে এ অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত করেছেন তাতে আমি ধন্য। 

বিভাগের বর্তমান শিক্ষার্থীরা তাদের সিনিয়রদের বরণ করে নেওয়ার জন্য যে উদ্দীপনা দেখিয়েছে তাতে আমি অভিভূত। এ সময় তিনি বিভাগের প্রথম পুনর্মিলনী আয়োজনে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

দুই দিনব্যাপী এ পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানে উন্মুক্ত আড্ডা, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, ইনডোর গেম, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিক্ষক শিক্ষার্থীরে সঙ্গে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মতবিনিময়, র্যা ফেল ড্র-সহ ছিল ফটোসেশনের আয়োজন।