Logo
Logo
×

ক্যাম্পাস

স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও দায়িত্বশীল প্রযুক্তি ব্যবহারে ব্র্যাক ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতার উদ্যোগ

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০২:০৫ এএম

স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও দায়িত্বশীল প্রযুক্তি ব্যবহারে ব্র্যাক ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতার উদ্যোগ

স্বাস্থ্য, শিক্ষা, মানবকল্যাণ, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি, শিল্পোন্নয়ন এবং প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ব্যবহারের ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। গবেষণালব্ধ জ্ঞানকে সমাজে বাস্তবভাবে প্রয়োগের মাধ্যমে টেকসই সমাধান গড়ে তুলতে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে এই যৌথ উদ্যোগ গড়ে উঠছে।

সম্প্রতি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল এই সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির জনগণের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা ও উদ্ভাবন সক্ষমতা এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগত উৎকর্ষকে একত্রিত করে বাস্তব জীবনের জটিল সমস্যার টেকসই সমাধান উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।

এই সহযোগিতার মূল লক্ষ্য হলো ‘আবিষ্কার থেকে বাস্তব প্রয়োগ পর্যন্ত’ একটি সুশৃঙ্খল প্রক্রিয়া গড়ে তোলা— যেখানে দ্রুত পরীক্ষা, স্বচ্ছ শেখার পদ্ধতি এবং কার্যকর বাস্তবায়নের মাধ্যমে টেকসই ও সম্প্রসারণযোগ্য সমাধান তৈরি সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ সামাজিক উদ্ভাবনের একটি বৈশ্বিক উদাহরণ হিসেবে স্বীকৃত। এই সহযোগিতা বাস্তব পরিবেশে যৌথ গবেষণা, সমাধান নকশা ও প্রয়োগের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে। এজন্য দুই বিশ্ববিদ্যালয় মিলে একটি ‘কো-ক্রিয়েশন ল্যাব’ প্রতিষ্ঠা করবে, যার মাধ্যমে বিভিন্ন পাইলট প্রকল্প পরিচালিত হবে। কেমব্রিজ ইতোমধ্যে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শক্তি ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রাথমিক প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের একটি কর্মপরিকল্পনাও উপস্থাপন করেছে।

সহযোগিতার অগ্রাধিকারমূলক ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে—

যৌথ পরিচালনা কাঠামো গঠন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক পাইলট প্রকল্পের নকশা, এবং এসব প্রকল্পের সফলতার মানদণ্ড নির্ধারণ।

বৈঠকে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন— ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ফারহাত আনোয়ার, ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড. ইমরান মতিন, রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ডাউল্যান্ড, এবং ব্র্যাক ইউরোপের গভর্নমেন্ট রিলেশনস ও পলিসি লিড জেমা মে।

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অংশ নেন— ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডেবোরা প্রেন্টিস, পাবলিক হেলথ অ্যান্ড প্রাইমারি কেয়ার বিভাগের প্রধান জন ড্যানেশ, এবং সেন্টার ফর রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টের পরিচালক ড. নাজিয়া হাবিব।

বৈঠকে যুক্তরাজ্যের হাউজ অব কমন্স থেকে সরাসরি যুক্ত হন দেশটির সাবেক মন্ত্রী দ্য রাইট অনারেবল স্যার অ্যান্ড্রু মিচেল এমপি। তিনি ব্র্যাকের কাজের প্রশংসা করে এর বৈশ্বিক প্রভাব ও প্রাসঙ্গিকতার ওপর আলোকপাত করেন।

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই যৌথ উদ্যোগ জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা— এসডিজি ৩ (সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ), এসডিজি ৪ (গুণগত শিক্ষা), এসডিজি ৯ (শিল্প, উদ্ভাবন ও অবকাঠামো) এবং এসডিজি ১৭ (লক্ষ্যের জন্য অংশীদারিত্ব) অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি এবং প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ব্যবহারে যৌথ উদ্ভাবন ও গবেষণার এই সহযোগিতা বাংলাদেশের সামাজিক উদ্ভাবনের ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ করবে এবং সমতাভিত্তিক টেকসই উন্নয়নের পথে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। 

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম