আ.লীগ চোরা রাস্তা দিয়ে দেশে আসার স্বপ্ন দেখছে: রিজভী
রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৪৮ পিএম
বক্তব্য রাখছেন রুহুল কবির রিজভী। ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বাংলাদেশ জাতীয়াতবাদী দলের (বিএনপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনা ১৪০০ শিশু, কিশোর, তরুণ হত্যা করে এখন ভারতে বসে অডিও বার্তা পাঠিয়ে নাশকতা করার নির্দেশনা দিচ্ছেন। তার নির্দেশেই কয়েকটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। এমনকি একজন পুড়ে মারাও গেছেন। কোনো একটা চোরা রাস্তা দিয়ে আওয়ামী লীগ দেশে আসার স্বপ্নে বিভোর রয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের হাতে প্রচুর টাকা রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা, পদ্মা সেতু, ফ্লাইওভারসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমের টাকা তাদের হাতে আছে। সব টাকা আটকানো যায়নি। সেই টাকা খরচ করে তারা নাশকতা করার চেষ্টা করছে।
ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা কায়েম হলে রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয় উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ফ্যাসিবাদ যেখানে জন্ম ও বিকাশ লাভ করে, সেখানে কোথাও ন্যূনতম গণতন্ত্রের জায়গা থাকে না। ফ্যাসিবাদের ছোবলে নির্বাচন কমিশন, গণতন্ত্র ও তার প্রতিষ্ঠান, সংবাদপত্র এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যখন আক্রান্ত হয়, তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও আক্রান্ত হয়। শেখ হাসিনা এই ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যাবস্থা কায়েম করেছিল। এ সময়ে ক্যাম্পাসগুলোতে কোনো রাজনৈতিক সহাবস্থান ছিল না। আমাদের ছাত্রদলের ছেলেরা চায়ের দোকান বা শ্রেণিকক্ষ কোথাও বসতে পারেনি। গত ১৫ বছর বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলকে এ বিষয়টি ভুগিয়েছে।
জিয়াউর রহমান এ দেশের মানুষের আত্মপরিচয় নিশ্চিত করেছেন বর্ণনা করে রিজভী বলেন, বাহাত্তরের পর থেকেই আত্মপরিচয়ের সংকট তৈরি করছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি সবাইকে বাঙালি হয়ে যেতে বলেছিলেন। তাহলে প্রশ্ন আসে, আমরা কোন দেশের বাঙালি? আমাদের চাকমা, মারমা কিভাবে বাঙালি হবে। এর পরিবর্তে জিয়াউর রহমান আনলেন বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ। এর মধ্যে আমার পাহাড়ি, সমতল, নদী সব চলে আসে। আমাদের এই আত্মপরিচয়ের সংকট নিরসন করলেন জিয়াউর রহমান। এটাকে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে মুছে দিতে চেয়েছিল, কিন্ত তিনি সেটা পারেননি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বুদ্ধিজীবীরা সব রাজনৈতিক দলকে বন্ধ করে দিয়ে বাকশাল কায়েম করেছিল। পরে জিয়াউর রহমানের সময়ে এসে সবাই তার রাজনীতি করতে পারবেন। তার মত প্রকাশ করতে পারবেন, এই স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এটাই ৭ নভেম্বরের কৃতিত্ব ও মহত্ত্ব, আপনি এটাকে কখনো অস্বীকার করতে পারবেন না।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির। সভাপতিত্ব করেন শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী। শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সর্দার জহুরুল হকের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন- ইউট্যাবের রাবি শাখার সভাপতি অধ্যাপক মামুনুর রশীদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন, জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল আলীম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম, জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফরিদুল ইসলাম ও ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ডাক্তার আওয়াল প্রমুখ।
