‘আমি খুব করে বাঁচতে চেয়েছি’ লিখে রাবি শিক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’
রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম
প্রতীকী ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সংলগ্ন একটি বাসা থেকে সোনিয়া সুলতানা নামে এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থী ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন মির্জাপুর এলাকার ‘ইসলাম টাওয়ার’ নামে নিজেদের আবাসিক ভবন থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ‘আমাকে ক্ষমা করে দিও’ লেখা চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মৃত সোনিয়া সুলতানা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর কাশিয়াডাঙ্গা থানা এলাকায়।
মতিহার থানার ওসি আবদুল মালেক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। তবে আমরা পৌঁছার আগেই তার বাবা লাশ নামিয়ে ফেলেছিলেন। যে কাপড়টি দিয়ে তিনি ফাঁস দিয়েছিলেন, সেটি ফ্যানের সঙ্গে বাঁধা ছিল।
তিনি বলেন, সোনিয়া তার বাবা-মায়ের সঙ্গে ওই ফ্ল্যাটেই থাকতেন। আনুমানিক সকাল ৬টার দিকে তিনি মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার মা প্রথমে লাশ দেখতে পান।
ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধারের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, টেবিলে দুটি নোট পাওয়া গেছে। একটিতে লেখা ছিল ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না। আমার যেন পোস্টমর্টেম করা না হয়। আব্বু-আম্মু ধ্রুবতাঁরা আমি খুব ভালোবাসি। আমাকে ক্ষমা করে দিও। আল্লাহকে বলো আমাকে মাফ করে দিতে।’
অন্য চিরকুটে লেখা ছিল- ‘আমি খুব করে বাঁচতে চেয়েছি বিশ্বাস করো তোমরা; কিন্তু নিজের সাথে যুদ্ধ করে আর পেরে উঠলাম না। আল্লাহ তুমি আমাকে মাফ করে দিও। আমাকে....’
ওসি আব্দুল মালেক বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নেই এবং তারা ময়নাতদন্ত করাতে চান না। প্রাথমিকভাবে আমরা এটিকে আত্মহত্যা হিসেবেই দেখছি।
এ বিষয়ে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আখতার বানু বলেন, সোনিয়া ভোরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তার বাবা-মা দুজনেই তখন বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ আসে এবং আলামত হিসেবে ওড়নাটি ও ঘটনাস্থলে থাকা রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে।
অধ্যাপক আখতার বানু বলেন, সোনিয়া ভালো ছাত্রী ছিলেন। সব সাবজেক্টে প্লাস পেত। গতকালও তার ভাইভা ছিল, সেটাও ভালো করেছে। সে খুবই ধার্মিক ছিল, পর্দা করত। আমরা জানতে পেরেছি, মারা যাওয়ার আগেও সে মায়ের সাথে ফজরের নামাজ পড়েছে।
