Logo
Logo
×

রাজধানী

ড্রামের মধ্যে খণ্ডিত মরদেহ, জানা গেল পরিচয়

Icon

হাজারীবাগ (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ১০:১৫ এএম

ড্রামের মধ্যে খণ্ডিত মরদেহ, জানা গেল পরিচয়

জাতীয় ঈদগাহের সামনে দুটি নীল রঙের ড্রাম ভর্তি এক পুরুষের খণ্ডিত মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেছে সিআইডি। ছবি: যুগান্তর

রাজধানীর শাহবাগ থানাধীন জাতীয় ঈদগাহের সামনে দুটি নীল রঙের ড্রাম ভর্তি এক পুরুষের খণ্ডিত মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করেছে সিআইডি। নিহত ব্যক্তির নাম মো. আশরাফুল হক (৪৩)। তিনি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম মো. আব্দুর রশিদ।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাত সোয়া ৭টার দিকে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করে পরিচয় শনাক্ত করে।

তবে কে বা কারা আশরাফুলকে হত্যা করে তার খণ্ডিত মরদেহ দুটি ড্রামে ভরে জাতীয় ঈদগাহের সামনে ফেলে গেছেতা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।

ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর দুটা থেকে আড়াইটার মধ্যে একটি ভ্যানে করে দুজন ব্যক্তি এসে ড্রাম দুটি রাস্তার পাশে রেখে যায়। স্থানীয়দের কাছ থেকে এতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে। সন্ধ্যার দিকে দুর্গন্ধ ছড়ালে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে ড্রাম খুলে চালের ভেতর থেকে কালো পলিথিনে মোড়ানো খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে।

তিনি আরও জানান, আশেপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। 

এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুটি ড্রাম খুলে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক পুরুষের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে।

সরেজমিনে দেখা যায়, দুটি নীল রঙের ড্রাম থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। ড্রামের ভেতরে ছিল চাল, যার ভেতরে কালো পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় মরদেহের খণ্ডিত অংশ রাখা ছিল।

শাহাদাত হোসেন নামে এক স্থানীয় পুলিশের উপস্থিতিতে ড্রাম দুটি খুলে মরদেহ বের করেন। তিনি বলেন, পুলিশ এসে ড্রাম খুলতে বললে আমি খুলে দিই। এরপর দেখি দুটি ড্রামের ভেতর একজন মানুষের একাধিক খণ্ডিত দেহাংশ।

পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, দু-একদিন আগে আশরাফুলকে হত্যা করা হয়। পরে হত্যাকারীরা মরদেহ খণ্ডিত করে চালভর্তি ড্রামে ভরে ঈদগাহের সামনে রাস্তার পাশে ফেলে যায়

এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে তদন্ত শুরু করেছে এবং মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম