ট্রাইব্যুনালের সামনে শহীদ পরিবারের সদস্য ও জুলাই আহতরা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০১:১৪ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির ফাঁসির দাবি নিয়ে সকাল থেকেই ট্রাইব্যুনালের সামনে জড়ো হয়েছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্য ও জুলাইতে আহত হওয়া মানুষেরা।
রায় শুনতে ট্রাইব্যুনাল চত্বরে ব্যানার-পোস্টার নিয়ে হাজির হয়েছেন বেশকিছু শহীদ পরিবারের সদস্য। যাদের নির্দেশে তাদের স্বজনদের হত্যা করা হয়েছে, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রথমে তারা ট্রাইব্যুনালের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন। এরপর তারা হাইকোর্টের মাজার রোড সংলগ্ন গেটের সামনে অবস্থান নেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ট্রাইবুনালের রায় দেখতে আসা স্বজন ও আহতদের কারও হাতে শহীদ স্বজনের ছবি, কেউ ব্যানার-পেস্টুন নিয়ে দাঁড়িয়ে। তাদের একটাই দাবি- এই মামলায় হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হোক।
ট্রাইব্যুনাল চত্বরে কান্নাজড়িত কণ্ঠে শহীদ মারুফের বাবা বলেন, আমরা ট্রাইব্যুনালের ওপর নিরাশ হয়ে গেছিলাম, কবে রায় পাব! একপর্যায়ে একটা সুসংবাদ আসছে আমাদের শহীদ পরিবারের সামনে—শেখ হাসিনার রায় আজ। রায় শুনতে আসছি, কী হয়। এই স্বৈরাচারী সরকার আমার ছেলেকে হত্যা করেছে, এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এদিকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের রায় পড়া শুরু করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ১১টার পর ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ রায় পড়া শুরু হয়। ট্রাইব্যুনালের বাকি সদস্যরা হলেন— বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এ মামলায় পলাতক রয়েছেন শেখ হাসিনা ও কামাল। তবে গ্রেফতার হয়ে প্রায় বছরখানেক ধরে কারাগারে রয়েছেন সাবেক আইজিপি মামুন। যদিও রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন তিনি। ফলে সাবেক এই আইজিপির শাস্তির বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের ওপর ছেড়ে দেন প্রসিকিউশন। একইসঙ্গে শেখ হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ সাজা চাওয়া হয়।
