Logo
Logo
×

রাজধানী

টেকনোলজিস্ট–ফার্মাসিস্টদের

১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন না হলে কমপ্লিট শাটডাউনের হুঁশিয়ারি

Icon

হাজারীবাগ (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:০০ পিএম

১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন না হলে কমপ্লিট শাটডাউনের হুঁশিয়ারি

‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। ছবি: যুগান্তর

১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণের দাবি দ্রুত বাস্তবায়িত না হলে বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) থেকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। একই সঙ্গে তারা ঢামেক হাসপাতালসহ সারাদেশের সব সরকারি হাসপাতালে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বেলা ১২টা পর্যন্ত চলে অর্ধদিবস কর্মবিরতি। এর আগে ৩০ নভেম্বরও তারা দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেছিলেন।

ঢামেকের বহির্বিভাগ চত্বরে সমবেত হয়ে কর্মবিরতি পালন করেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা। নেতৃত্ব দেন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সচিব মাইনুদ্দিন মঞ্জু। উপস্থিত ছিলেন ফার্মাসিস্ট সিকদার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, ফার্মাসিস্ট মো. মনির হোসেনসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতারা।

নেতারা জানান, তাদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের ফাইলটি বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন। বহুবার সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে ফাইল উপস্থাপন করা হলেও অজ্ঞাত কারণে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তাদের অভিযোগ- নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন, দাপ্তরিক যোগাযোগ এবং জনপ্রশাসন বিধি শাখার সব চাহিদা পূরণ করেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাব, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও বিভিন্ন অজুহাতে ফাইল ফেরত দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে সময়ক্ষেপণ হচ্ছে এবং নতুন জটিলতা তৈরি হচ্ছে।

বক্তারা আরও বলেন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা নার্স ও ডিপ্লোমা কৃষিবিদরা ইতোমধ্যে ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত হয়েছেন। অথচ একই দাবি থাকা সত্ত্বেও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত ঝুলে আছে। 

নেতারা পুনরায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আগামীকাল থেকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি শুরু হবে। তবে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ এই কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।

অর্ধদিবস কর্মবিরতির কারণে ঢামেক হাসপাতালে আগত রোগীরা নানাভাবে ভোগান্তির সম্মুখীন হন। রেডিওলোজি বিভাগ বন্ধ থাকায় অনেক রোগী এক্স-রে ও আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা করাতে না পেরে বারান্দা ও করিডোরে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করেন। মেডিসিন স্টোরের সামনে ওষুধ নিতে আসা রোগীদের লম্বা লাইন তৈরি হয়। সেবা ব্যাহত হওয়ায় হাসপাতালে চাপ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এবং রোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

আন্দোলনকারীরা জানান, অধিকার আদায়ে তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন, তবে সরকারের ইতিবাচক উদ্যোগের অপেক্ষায় রয়েছেন।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম