Logo
Logo
×

রাজধানী

চারুকলা ১৬তম ব্যাচের প্রদর্শনী

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:১৫ পিএম

চারুকলা ১৬তম ব্যাচের প্রদর্শনী

সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডির গ্যালারি চিত্রকে উদ্বোধন হলো ষোল রং -সিক্সটিন শেডস অব দ্য সিক্সটিনথ ব্যাচ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ১৬তম ব্যাচের ৩২ জন শিল্পীর  চিত্রকর্ম নিয়ে আয়োজিত এই দলীয় শিল্প প্রদর্শনী চলবে ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেণ্য চিত্রশিল্পী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সাবেক শিক্ষক এবং আর্ট বাংলা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মঈনুদ্দীন খালেদ এবং গ্যালারি চিত্রকের নির্বাহী পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান। 

অনুষ্ঠানের শুরুতে এই আয়োজন প্রসঙ্গে কিউরেটর রাজিব আহমেদ বলেন, ষোল রঙ হলো শিল্পযাত্রার পুনর্মিলন ও পরিচয়ের পুনরাবিষ্কার। এই প্রদর্শনী নিজেদের কাছে ফিরে যাওয়ার একটি যাত্রা। অনেকেই দীর্ঘ বিরতির পরও শিল্পের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত ছিলেন, এবং এই প্রদর্শনী তাদের সৃজনশীলতার নতুন আলিঙ্গনকে প্রতীকীভাবে তুলে ধরে। ষোল রং – সিক্সটিন শেডস নামটি ব্যাচটির বহুমাত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি, পদ্ধতি ও আবেগী ভুবনের প্রতিফলন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ষোল রঙের ষোল কলা পূর্ণ হোক। ধন্যবাদ জানাই ৩২ জন বন্ধুদের, যারা ৬০টি ছবি নিয়ে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। আসলে প্রদর্শনীর কোন বিকল্প নেই। প্রদর্শনী মানেই বেচাকেনা নয়। তোমার ছবি হয়তো দর্শক একদিনে না বুঝলে ৫দিনে বুঝবে। কিন্তু প্রদর্শনী করতেই হবে। হয়তো দর্শকের মতো ১জন দর্শক আসবে, যে তোমার ছবির মূল্য দিবে। 

অধ্যাপক মঈনুদ্দীন খালেদ বলেন, একটি বিষয় লক্ষ্য করেছি, এই ৩২ জন শিল্পীর মধ্যে ২১ জন নারী। এদেশে ঘর সংসার সামলিয়ে অনেকের শিল্প চর্চা করা কঠিন হয়ে পড়ে। এখানে নারী চিত্রশিল্পীরা ঘর সংসার সামলানোর পরও ছবি এঁকেছেন। এটি খুব ইতিবাচক দিক। এই প্রদর্শনী প্রসঙ্গে বলতে গেলে, সবাই জটিল পরীক্ষা-নীরিক্ষার মধ্যে না গিয়ে সহজ বিষয় তুলে ধরেছেন, যা জনগণের সাথে সংযোগ স্থাপন করবে। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চিত্রশিল্পী অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, ৩২ জন শিল্পী শিক্ষাজীবনের পর একসঙ্গে হতে পেরেছো। এতো সুন্দর প্রদর্শনী উপহার দিতে পেরেছো। অনেকেই অনেক দিন পর ছবি এঁকেছে। তোমাদের একটিই পরিচয়। তোমরা শিল্পী। চর্চা চালিয়ে যেতে হবে। চর্চা না থাকলে পিছিয়ে যেতে হয়। তোমরা বিভিন্ন পেশার সাথে জড়িত। এতো কাজের মাঝে ছবি এঁকেছো। আমি ভবিষ্যতে ৩২জন শিল্পীর একক চিত্র প্রদর্শনী দেখতে চাই। 

প্রদর্শনীটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ১৬তম ব্যাচের অকালে পরপারে চলে যাওয়া বন্ধু জুলকারনাইন আশজাদির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। 

এই প্রদর্শনীতে রেখাচিত্র, পেইন্টিং, প্রিন্টমেকিং, ভাস্কর্য, জল রং, সিরামিক ও কারুশিল্পে শিল্পীরা আবেগ, স্মৃতি, প্রকৃতি, নগরজীবন ও পরিচয়ের বহুস্তরকে নতুন ভিজ্যুয়াল ভাষায় তুলে ধরেছেন। ঐতিহ্য, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সমকালীন অভিব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত বহুমাত্রিক শিল্পভুবন। চিত্রশিল্পী রাজিব আহমেদ, নাজমুস সাকিব, মো. রিয়াদ হোসেন, মেহনাজ তাবাসসুম অনন্যা, আরাশাতুল ফাতিমা সুলতানা, সাবরিনা ফারাহ, কামরুন নাহার ময়না, উপমা দাস তৃনা, নাহিদা নিসা, চঞ্চল কুমার বিশ্বাস, মেহেদী হাসান মিঠুন, সোমা সুরভী জান্নাত, নাফিয়া তাবাসসুম, তানজিমা তাবাচ্ছুম এশা, শেখ ফারহানা পারভীন টুম্পা, নাজমুন নাহার আকন্দ, কাজী আবু আবিদ, কোহিনূর আক্তার মীরা, হ্যাপি মন্ডল, স্মিতা দাস তুলি, স্মৃতি খন্দকার, লিটন পাল রনি, হাবিব রহমান, মো. শফিকুল ইসলাম রাজরাজ, মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম (আরিফ), আঞ্জুমানারা সোনিয়া, আকলিমা ইকবাল, ইশিতা ইসলাম, শর্মী দাশগুপ্তা, জাহিদা হক চৈতী, ফাহিমা আহমেদের শিল্পকর্ম এখানে স্থান পেয়েছে। প্রদর্শনীটি প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম