রাজধানীর ডেমরায় ভুয়া ডিবি (গোয়েন্দা পুলিশ) পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে অপহরণের চেষ্টা ও চাঁদা দাবির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ডেমরা থানা পুলিশ।

শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাশেরপুল ফেয়ার হেভেন ব্লু টাওয়ারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. সোহাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কার, দুটি ওয়াকিটকি ও ওয়াকিটকির চার্জার জব্দ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা নিজেদের নাম—ঠিকানা প্রকাশ করলেও পলাতক আসামিদের বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি।

গ্রেফতারকৃতরা হলো— মো. মাহমুদুল হাসান খান (২৫) ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানার নারিকেল বাড়ীয়া গ্রামের আমজাদ আলী খানের ছেলে, বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার শহিদবাগ মাতুয়াইল মেডিকেল এলাকায় বসবাসকারী। মো. হোসেন রানা (২৯) শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার করাই বটতলা বিজারী গ্রামের মো. বজলু রশিদের ছেলে, বর্তমানে রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থানা ধলপুরের মাদ্রাসা গলি এলাকায় বসবাসকারী। মো. মমিন (২৪) ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার দক্ষিণ বাগাপুর গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে।

ভুক্তভোগী মো. সোহাগ জানান, নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে বাশেরপুল ফেয়ার হেভেন ব্লু টাওয়ারের সামনে পৌঁছালে কয়েকজন ব্যক্তি তাকে অবরোধ করে। তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা রয়েছে বলে দাবি করে এবং থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। এ সময় আসামী মাহমুদুল হাসান খান তাকে বাঁচতে হলে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে বলে হুমকি দেয়। 

ভুক্তভোগী পরিবারকে জানাতে চাইলে অভিযুক্তরা জোরপূর্বক তাকে একটি প্রাইভেট কারে তোলার চেষ্টা করে এবং তার হাতে থাকা আনুমানিক ৩০ হাজার টাকা মূল্যের একটি হাতঘড়ি ছিনিয়ে নেয়। তিনি চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে অভিযুক্তদের পরিচয় জানতে চাইলে তাদের সঙ্গে থাকা অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জন কৌশলে পালিয়ে যায়।

তবে স্থানীয়দের সহায়তায় তিনজনকে আটক করা হয়। অভিযুক্তরা কোনো বৈধ পরিচয়পত্র দেখাতে না পারায় পরিস্থিতি উত্তেজনাকর হয়ে উঠলে খবর পেয়ে ডেমরা থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আটককৃতদের হেফাজতে নেয়।

এ বিষয়ে ডেমরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুরাদ হোসেন (পিপিএম) বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আসামিদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের শনিবার আদালতে প্রেরণ করা হবে এবং পলাতক অন্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের চেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।