মেলায় মিলছে সাড়ে তিন লাখ টাকায় কবরের জমি!

 যুগান্তর ডেস্ক 
০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৬:১১ পিএম  |  অনলাইন সংস্করণ
রিহ্যাব মেলার এমআইএস হোল্ডিংস
রিহ্যাব মেলার এমআইএস হোল্ডিংস। ছবি-যুগান্তর

এত দিন ফ্ল্যাট বা জমির জন্য বুকিংয়ের কথা শুনলেও এবার সাড়ে তিন লাখ টাকায় লাশ দাফনের জন্য কবরের জমি পাওয়া যাচ্ছে।

এ সংক্রান্ত বুকিংয়ের জন্য রিহ্যাব মেলার এমআইএস হোল্ডিংসে যেতে হবে।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে চলছে পাঁচ দিনব্যাপী রিহ্যাব ফেয়ার-২০১৯। 

শনিবার মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, ৩১ নম্বর স্টলে কবরের জমি বিক্রির উদ্দেশ্যে বুকিং নিচ্ছে এমআইএস হোল্ডিংস।

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানান, পূর্বাচল রাওজাতুল জান্নাত প্রকল্পের আওতায় বুকিং নেয়া হচ্ছে কবরের জমির। প্রায় ২০০ বিঘা জমির ওপর ৮ হাজার কবরের সংকুলান হবে এখানে। ইতিমধ্যে দুই হাজার কবরের জমি তৈরি করা হয়েছে।

৭ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৩.৫ ফুট প্রস্থের (২৪.৫ বর্গফুট) এসব জমির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। আর এককালীন সার্ভিস চার্জ ১৫ হাজার টাকা। মোট ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকায় পাওয়া যাবে একটি কবর।

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আফরোজা সুলতানা বলেন, ঢাকা শহরে এখন আর কোথাও স্থায়ী কবর বরাদ্দ পাওয়া যায় না। তবে আমরা এখানে স্থায়ী কবর দিচ্ছি। যিনি জমি কিনবেন তাকে সাব-কাবলা রেজিস্ট্রি করে দেওয়া হবে। এই জমি আর কাউকে দেওয়া হবে না। 

তিনি বলেন, আমাদের এখানে শুধু কবরস্থান করা হবে, তা নয়। এখানে মসজিদ, মাদ্রাসা এবং এতিমখানাও করা হচ্ছে। যারা এখানে জমি কিনবেন তাদের টাকার একটি অংশ থেকে এগুলো করা হবে।

আফরোজা সুলতানা আরও বলেন, কবর বুকিং দেওয়া কোনো ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর তার স্বজনরা আমাদের জানানো মাত্রই মরদেহ সম্পর্কিত সব আনুষ্ঠানিকতা আমরাই করব। মরদেহের গোসল করানো, জানাজা ও দোয়াসহ দাফনও আমাদের লোক দিয়েই করে দেব। আর সবসময় ২৪ ঘণ্টা কবরের নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করব। এই সবকিছু ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকার মধ্যেই।

এই দাম বেশি হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকা শহরে এমনিতেই কোথাও আর কবরের জমি স্থায়ীভাবে পাওয়া যায় না। একজনের মরদেহের কবরেই কিছুদিন পর আরেকজনের মরদেহ কবর দেয়া হয়। প্রিয়জনের মরদেহের সঙ্গে এমনটা যারা হতে দিতে চান না তারা এখানে জমি কিনতে পারেন। এটা চিরস্থায়ী। 

প্রতিষ্ঠানের এই কর্মকর্তা বলেন, এছাড়াও কেউ কোথাও এক কাঠা জমি কিনেও চাইলে কবর করতে পারবেন না। প্রতিবেশীরা আপত্তি করতে পারেন। কিন্তু এখানে মসজিদ, মাদ্রাসা এবং এতিমখানার মতো একটা পরিবেশে চিরস্থায়ী কবর পাওয়া যাচ্ছে। একটা ধর্মীয় অনুভূতির বিষয়। আর কবর রক্ষণাবেক্ষণে চিরস্থায়ী যে খরচটি হবে তা আমরা একবারেই নিয়ে নিচ্ছি। তাই দাম বেশি বলা যাবে না।

যুগান্তর ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন